ভারতের সবচাইতে ধনী ব্যক্তিদের তালিকা তৈরী হলে একেবারে প্রথমদিকেই থাকবেন মুকেশ আম্বানি (Mukesh Ambani)। আর তারই স্ত্রী হলেন নীতা আম্বানি (Neeta Ambani)। অর্থাৎ ভারত তথা পৃথিবীর সবচাইতে ধনী পত্নীদের মধ্যে একজন হলেন তিনি। ১৯৮৫ সালে মুকেশ আম্বানির সাত বিয়ে হয় নীতা আম্বানির। ভারতের সবচেয়ে ধনী পরিবারে বিয়ের হবার কারণে ধন দৌলত, আভিজাত্যের কোনো অভাবই ছিল না তাঁর। কিন্তু যে অভাব ছিল সেটা পৃথিবীর সমস্ত ঐশ্বর্য দিয়েও মেটানো সম্ভব নয়।
বিয়ের এক বছরের মাথায় ভারতের সবচেয়ে ধনী পরিবারের বউ নীতা আম্বানি জানতে পারেন যে তিনি মা হতে পারবেন না। যেখানে বাচ্চা খুব ভালোবাসতেন নীতা, সেখানে তিনিও মা (Mother) হবার সুখ থেকে বঞ্চিত! তবে হাল ছাড়তে মোটেও রাজি ছিলেন না নীতা। অদম্য ইচ্ছাশক্তি আর মেডিক্যাল সাইন্সের জেরে ১৯৯১ সালে প্রথমবার মা হল তিনি।
যেমনটা জানা যায়, বিয়ের পর প্রথম যখন নীতা শোনেন যে তিনি মা হতে পারবেন না তখন ভেঙে পড়েছিলেন তিনি। তখন নানান চিকিৎসকদের পরামর্শ নেন তিনি। ডাক্তারের কাছ থেকেই মুকেশ ও নীতা আম্বানি আইভিএফ (IVF) পদ্ধতিতে মা হওয়ার কথা জানতে পারেন। যদিও সেই সময় এই পদ্ধতিটি একেবারেই নতুন, এই পদ্ধতির খুব কম ব্যবহারই হত সেই সময়। তবে নীতা রাজি হয়ে যান। এরপর শুরু হয় তাঁর চিকিৎসা। চিকিৎসা শুরু হলে বিয়ের সাত বছরপর প্রথমবার সুখবর পান নীতা আম্বানি।
১৯৯১ সালের সেই দিন যেদিন নীতা প্রথম গর্ভবতী হবার কথা শুনেছিলেন সেদিন তিনি খুশিতে আত্মহারা হয়ে গিয়েছিলেন। যেখানে সন্তানের মা হওয়ার সম্ভাবনাই ছিল না সেখানে যমজ সন্তানের জন্ম দেন নীতা। সেবছর মেয়ে ঈশা আম্বানি (isha Ambani) ও ছেলে আকাশ আম্বানির (Akash Ambani) জন্মদিন নীতা আম্বানি। তবে এই মা হবার পেছনে ছিল অদম্য ইচ্ছাশক্তি। জানা যায় প্রথম বার মা হবার সময় নাকি ৯০ কেজি ওজন হয়ে গিয়েছিল নীতার। সেই থেকে ফের ফিট ফিগারে ফিরে আসেন নীতা।
অবশ্য এরপরেও মা হয়েছিলেন নীতা। ১৯৯৫ সালে দ্বিতীয়বার গর্ভবতী হন নীতা আম্বানি। দ্বিতীয়বার গর্ভবতী হলে এক ছেলে অনন্ত আম্বানির (Anant Ambani) জন্মদিন নীতা। বর্তমানে মেয়ে ঈশা আম্বানির বিয়ে হয়ে গিয়েছে। এমনকি দাদু দিদিমা হয়ে গিয়েছেন মুকেশ আম্বানি ও নীতা আম্বানি।