বাঙালিদের জীবনের সাথে অনেকটাই জড়িয়ে রয়েছে বাংলা সিরিয়াল (Bengali Serial)। প্রতিদিন কাজ মিটিয়ে সন্ধ্যে হলেই বাড়ির মা বোনেরা সিরিয়াল দেখতে হাজির হয়। পর্দার চরিত্রগুলোকে অনেকটাই আপন করে নেন দর্শকেরা। বিশেষ করে ‘অপরাজিত’ (Aparajito), ‘মা’ (Maa), ‘রাখি বন্ধন’ (Rakhi Bandhan) এই সিরিয়ালের খুদে সদস্যরা আরও বেশি করে মন ছুঁয়েছে সকলের। কিন্তু সিরিয়ালের পর্দার এই শিশুশিল্পীরা বা ভাই বোনদের (On Screen Brother Sisters) বাস্তবের সম্পর্ক কেমন? পর্দার বাইরেও কি ভাই বোনের মত কথাবার্তা চলে? আজকের প্রতিবেদনে রইল সেই খোঁজ।
আজ থেকে একদশকের আগে ২০১১ সালে সম্প্রচারিত হত ‘অপরাজিত’। সেই সিরিয়ালের তিতলি আর পিকু ভাইবোন জুটির অভিনয় বেশ নজর কেড়েছিল দর্শকদের। সিরিয়ালে তিতলির কি চরিত্রে অভিনয় করেছিলেন দিতিপ্রিয়া রায় (Ditipriya Roy) ও পিকুর চরিত্রে ছিলেন সোহম বসু রায়চৌধুরী (Soham Basu Roy Chowdhury)। বর্তমানে দুজনেই অনেকটা বড় হয়ে গিয়েছেন। অভিনেত্রী হিসাবে দিতিপ্রিয়ার সুনাম রয়েছে বেশ। তেমনি সোহমও পর্দায় অভিনয় করে চলেছেন।
বর্তমানে সফল হলেও ‘অপরাজিত’ এর কথা এখনও ঠিকই মনে রেখেছেন তিনি। এমনকি পর্দার পিকুর (সোহম) সাথে যোগাযোগও রয়েছে। পর্দার দাদা থেকে বাস্তবেও সম্পর্কটা তেমনই রয়েছে। হয়তো ভাইফোঁটা দেওয়া হয় না তবে সমস্যা হলেই মেসেজ করা থেকে কথা সবই হয়।
দর্শকদের প্রিয় আরেকটি সিরিয়াল হল ‘মা’। সিরিয়ালে ছোট্ট ঝিলিকের চরিত্রে অভিনয় করেছিলেন তিথি বসু (Tithi Basu)। সাথে দাদার চরিত্রে ছিলেন আয়ুষ। বর্তমানে তিথি অভিনয়ের থেকে দূরেই রয়েছেন। তবে আয়ুষ কিন্তু টলিউডে নিজের জায়গা ধরে রেখেছেন, সন্দীপ রায়ের ‘ফেলুদা’ গল্পে তোপসে হিসাবে দেখা যাবে তাকে।
‘মা’ সিরিয়াল শেষ হওয়ার পরেও কি সম্পর্ক রয়েছে? এই প্রশ্নে তিথি জানান, ‘বহুবছর কেটে গেছে, আমিও বহুদিন অভিনয়ে নেই। এখন সেভাবে যোগাযোগ রাখা হয় না। যখন ছোট ছিলাম খুব মজা করেছি, আয়ুষ এখন অনেটাই বড়। তবে সেভাবে যোগাযোগ আর নেই আমাদের দুজনের মধ্যে’।
এছাড়াও আরও এক সিরিয়ালে ভাই বোনের জুটি সবার বেশ প্রিয় ছিল। হ্যাঁ ঠিকই ধরেছেন ‘রাখি বন্ধন’ সিরিয়ালের কথা বলছি। সিরিয়ালে সোহম ছিলেন দাদার চরিত্রে আর অভিনেত্রী কৃত্তিকা চক্রবর্তী (Krittika Chakraborty) ছিলেন বোনের চরিত্রে। অভিনেতার কথায়, সিরিয়ালের সময় কৃত্তিকার বয়স ছিল মাত্র চার বছর। আমিও সমবয়সীই ছিলাম তাই আমাদের সম্পর্কটা বেশ ভালোই ছিল। এখনও দাদা-বোনের মত সম্পর্ক রয়ে গেছে।