অভিষেকের মৃত্যুতে গত দু-দিন ধরেই শোকে বিহ্বল টলিপাড়া। এমনকি থমকে গিয়েছে একাদিক সিরিয়ালের শ্যুটিংও। এককালের দাপুটে অভিনেতার অকাল প্রয়ান যেন কিছুতেই মেনে নিতে পারছেন না টলিপাড়ার কলাকুশলীরা। দুঃস্বপ্নের মতো টলিপাড়ার আনাচে কানাচে এখন একটাই শব্দ গুঞ্জরিত হচ্ছে ‘অভিষেকদা’ আর নেই। আর তাতেই শোকের চাদরে মূর্ছা গিয়েছে গোটা টালিগঞ্জ। এদিকে অভিষেকের মৃত্যুতে তাঁর ভক্তকূলের মধ্যে শোকের আবহ গাঢ় হলেও গত দুদিনের ধরেই কার্যত সবথেকে বেশি প্রভাব পড়েছে তাঁর পরিবারে।
এমনকি তাঁর শোকাহত স্ত্রী সংযুক্তার শারীরিক অবস্থা নিয়েও নানা কথা শোনা যাচ্ছিল। কিন্তু হাসপাতালে ভর্তির আগেই কি করে অভিষেকের এই অকাল প্রয়ান ঘটল সেই প্রশ্নই ঘোরাফেরা করছিল টলি পাড়া থেকে সোশ্যাল মিডিয়ার দেওয়ালে। কিন্তু মিলছিল না উত্তর। কিন্তু উত্তর যাঁর কাছে সেই সংযুক্তাই ছিলেন বাকরুদ্ধ। অবশেষে স্বামী শোক কাটিয়ে মৌনতা ভেঙেছেন সংযুক্তা। অবশেষে জানিয়েছেন কি করে আচমকা না ফেরার দেশে চিরতরে হারিয়ে গেলেন অভিষেক।

এই প্রসঙ্গে বলতে গিয়ে অভিষেক জায়া সংযুক্তা বলেন, “মঙ্গলবার ‘খড়কুটো’-র সেটে প্রথম অসুস্থ বোধ করছিল ও। সেট থেকেই ফোন আসে আমার কাছে। তখনই আমাকে জানানো হয় আমি যেন দ্রুত অভিষেককে বাড়ি নিয়ে যাই। তখনই আমি তড়িঘড়ি সেটে পৌঁছাই। পৌঁছেই দেখি অভিষেক থর থর করে কাঁপছেন। ওর খুব সম্ভবত ফুড পয়েজেনিং হয়েছিল। তখন ওকে অ্যালার্জির ওষুধ দেওয়া হই। তাতে খানিক কাঁপুনি কমলেও বিশেষ কাজ হয়নি। স্টুডিওর বাইরে আসতেই ফের বমি শুরু হয়। একটুও দাঁড়িয়ে থাকার ক্ষমতা ছিল না। রক্তচাপও ক্রমশ কমতে থাকছিল।”

সূত্রের খবর, তখনই সংযুক্তা অভিষেকের পরবর্তী দিনের যে সমস্ত কাজের শিডিউল রয়েছে তা বাতিল করতে বলেন। এদিকে পরের দিন ‘ইস্মার্ট জোড়ি’-র শুটিং ছিল অভিষেকের। শুরুতে তা বাতিল করার কথা বললেও ডেটের চাপে তা সম্ভব হয়নি। এদিকে সেখানে গিয়েও প্রচন্ড ভাবে অসুস্থ হয়ে পরের তিনি। ডাক্তার হাসপাতালে ভর্তির কথা বললেও অভিষেক তাতে রাজি হননি। অবেশেষে তাতেই ঘটল শেষ বিপর্যয়। এমনটাই মত অভিষেকের ঘনিষ্ট মহলের।














