বৃহস্পতিবার সকালটা সত্যিই খুব খারাপ। কারণ সকাল হতেই টলিউডের তরফ থেকে মিলেছে দুঃসংবাদ। প্রয়াত হয়েছেন অভিনেতা অভিষেক চট্টোপাধ্যায় (Abhishek Chatterjee)। প্রাণবন্ত একজন অভিনেতা, তাকে টিভির পর্দায় হাসিমুখেই দেখতে অভ্যস্ত দর্শকেরা। এমন একজন অভিনেতা মাত্র ৫৭ বছর বয়সেই হটাৎ মারা গেলেন। শুরুতে খবরটা বিশ্বাস করতে পারেননি অনেকেই। কি হয়েছিল অভিষেক চট্টোপাধ্যায়ের ?
যেমনটা জানা যাচ্ছে, বিগত বেশ কিছুদিন ধরেই পেটের সমস্যায় ভুগছিলেন অভিনেতা। তবে শারীরিক অসুস্থতা থাকলেও লাইট ক্যামেরা অ্যাকশন ছিল প্রাণ, তাই কাজ চালিয়ে গিয়েছেন। সহ অভিনেতা ভরত কলের বলেন, মঙ্গলবার শুটিং চলাকালীন অসুস্থ হয়ে পড়েছিলেন অভিষেক। ফুড পয়জনিং এর কারণে ভালোরকম অসুস্থ হয়ে পড়েছিলেন। তবে কাজ বন্ধ করেননি, অসুস্থতা নিয়েই শুটিং চালিয়ে গিয়েছেন।
ষ্টার জলসার নতুন রিয়্যালিটি শো ‘ইসমার্ট জোড়ি’র জন্য চলছিল শুটিং। সেই সময় অসুস্থ হয়ে পরে, বমিও করেন। ব্লাড প্রেসার কমে হয়ে যায় ৮০, তৎক্ষণাৎ ব্ল্যাক কফি খাওয়ানো হয়েছিল অভিনেতাকে। তারপর সেখান থেকেই ডাক্তার দেখিয়ে বাড়ি ফিরিয়ে দিয়ে আসা হয় তাকে। ডাক্তার হাসপাতালে ভর্তি হওয়ার কথা জানালেও হাসপাতালে নয় বাড়িতেই চিকিৎসা করতে চেয়েছিলেন।
বাড়িতে গিয়েও খুব একটা সুস্থ হননি অভিনেতা। স্যালাইনের ব্যবস্থা করা হয়েছিল বাড়িতেই। কিন্তু বুধবার রাত কাটতে না কাটতেই সব শেষ। প্রিন্স আনোয়ার শাহ রোডের বাড়িতে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন অভিনেতা। অনেকেরই ধারণা শুটিং চলাকালীনই হৃদরোগে আক্রান্ত হয়েছিলেন অভিনেতা।
এমন একজন অভিনেতার মৃত্যুর খবরে শোকাহত হয়ে পড়েছে। সেই নব্বইয়ের দশকে প্রথম আত্মপ্রকাশ করেন টলিউডে। রুণ মজুমদার পরিচালিত ‘পথভোলা’ ছিল অভিনেতার প্রথম ছবি। কাজ করেছেন প্রসেনজিৎ চট্টোপাধ্যায়, চিরঞ্জিৎ চক্রবর্তী, দেবশ্রী রায়, ঋতুপর্ণা সেনগুপ্তের সাথে। একাধিক সুপারহিট ছবি উপহার দিয়েছিলেন দর্শকদের। সাথে ছোটপর্দার অভিনেতা হিসাবেও ব্যাপক জনপ্রিয় কি ছিলেন তিনি।
টলিউডে যোগ্য সন্মান না পেয়ে একসময় স্বজনপোষণ নিয়ে সরব হয়েছিলেন অভিনেতা। একসময় বলেছিলেন, বড়পর্দায় তাকে হিরো নয় বরং বয়স্কের চরিত্রে অভিনয় করতে হবে। তাই শেষমেষ নিজেকে দূরে সরিয়ে নিয়েছিলেন অভিনেতা। তবে ছোটপর্দায় একাধিক সিরিয়ালে অভিনয় করছিলেন অভিনেতা। যার মধ্যে খড়কুটো সিরিয়ালে গুনগুন এর বাবা ডাঃ কৌশিক সেনের চরিত্রের জন্য ব্যাপক জনপ্রিয় ছিলেন তিনি।