২০২১-র বাংলা বিধানসভা নির্বাচনের (West Bengal Assembly Election 2021) বেশ আগেই তৃণমূল (TMC) ছেড়ে গেরুয়া শিবিরে (BJP) যোগদান করেন টলিউডের (Tollywood) অভিনেতা হিরণ চট্টোপাধ্যায় (hiran chatterjee)। নির্বাচনে জয়লাভ করে খড়গপুর (Kharagpur) বিধানসভা কেন্দ্রের বিধায়ক (MLA) পদে আসীন হয়েছেন তিনি। যদিও শপথ গ্রহণের পর থেকে আর কলকাতামুখো (Kolkata) হননি হিরণ। বিলাসবহুল জীবনকে টাটা বাইবাই বলে নতুন আশ্রয় হিসেবে হিরণ বেছে নিয়েছেন একটি আশ্রম। কেন অভিনেতার এই অজ্ঞাতবাস?
খড়গপুর সদরের মধ্যে থেকে মানুষের কাছাকাছি সহজে পৌঁছে যাওয়ার উদ্দেশেই হিরণের এই ত্যাগ, মত অভিনেতা-ঘনিষ্ঠদের। প্রথমদিকে কোনো স্থায়ী আস্তানা ছিল না অভিনেতার। যদিও কিছুদিন পরেই এই আশ্রম খুঁজে পান তিনি। এই আশ্রমের ঠিকানা ঘনিষ্ঠ বিজেপি নেতা ছাড়া আর কেউই যে জানেন না, তা জানান স্বয়ং হিরণ। আশ্রমে তাঁর সঙ্গে সর্বক্ষণ থাকছেন কয়েকজন বিজেপি কর্মী, জানান হিরণ।
করোনা আবহে লকডাউনের মধ্যেও বেশ অ্যাকটিভ হিরণ। যতটা সম্ভব ততটা করত আশ্বাস দিয়েছেন বিজেপি বিধায়ক। যদিও পাশাপাশি হিরণের অভিযোগ, খড়গপুরে বেশ কিছু বিজেপি কর্মীর বাড়িতে পানীয় জলের লাইন কেটে দেওয়া হয়েছে। অন্যদিকে লকডাউনের মধ্যেও যাতে স্বেচ্ছাসেবী সংস্থাগুলি বাইরে বেরিয়ে স্বচ্ছন্দে কাজ করতে পারে, সে বিষয়ে উদ্যোগ নিচ্ছেন হিরণ।
কোভিড পরিস্থিতিতে হাসপাতালে শয্যসংখ্যা বাড়ানোর চেষ্টাতে নেমে পড়েছেন তিনি। ইতিমধ্যেই রেলের হাসপাতালে করোনা বেডের সংখ্যা ৩০ থেকে বেড়ে হয়েছে ৬৫। রেলের বন্ধ যক্ষ্মা হাসপাতালে ‘সেফ হোম’ (Safe Home) চালু করার ভাবনা রয়েছে বিধায়কের। পাশাপাশি আইআইটি খড়গপুরের (IIT Kharagpur) হাসপাতাল পুনরায় চালু করার বিষয়ে ডিরেক্টরের সঙ্গে আলোচনা করেছেন তিনি, খবর হিরণ ঘনিষ্ঠদের সূত্রে।
আপাতত একজন আশ্রমবাসীর জীবন আপন করে নিয়েছেন হিরণ। রান্না থেকে বাসন মাজা, সব দৈনন্দিন কাজই করছেন নিজে হাতে। খাবারের মেনুতে সাদামাটা ভাত, ডাল, তরকারি। কলকাতার ফ্ল্যাটে এখনই না ফিরলেও নিয়ম করে প্রায় প্রত্যহই স্ত্রী, কন্যার সঙ্গে কথা বলেন অভিনেতা।