‘মানিকে মাগে হিথে'(Manike Mage Hithe) সিংহলি ভাষার এই গানের তালে ঘাড় দোলাননি এমন সোশ্যাল মিডিয়া ব্যবহারকারীর বোধহয় দূরবীনেও খোঁজ মিলবেনা। এই গানের মধ্যে এমনই একটা মাদকতা যা একবার শুনলে মন ভরছে না কারও। ইন্সটাগ্রাম রিল থেকে ফেসবুক স্টোরি, নিত্য নতুন ডান্স কভার থেকে ফোনের কলার টিউন সর্বত্র এই গান গত কয়েকদিন ধরে কার্যত দাপিয়ে বেড়াচ্ছে। ইতিমধ্যেই বিভিন্ন ভাষায় এই গানের সুরের সঙ্গে তাল মিলিয়ে তৈরি হয়েছে রকমারি কভার।
ইতিমধ্যেই এই গানের ভিউ ছুঁয়েছে প্রায় ৭ কোটি, এমনকি ভারতের ষষ্ঠ ভাইরাল গানের তালিকায় উঠে এসেছে এই গানের নাম। ভাষা না বুঝেও অসংখ্য মানুষ মুখস্থ করে ফেলেছেন এই গানের কথা। জানেন কি এই গান ভাইরাল হওয়ার পিছনে আসল রহস্য কি? সুর, তালের সঙ্গে শ্রবণ যন্ত্রের এক সুচারু বৈজ্ঞানিক সম্পর্কই এই গানকে করে তুলেছে জনপ্রিয়।
নানান দেশের মানুষই ইতিমধ্যেই এই গানটি গাওয়ার চেষ্টা করেছেন। বিভিন্ন ভাষাতেও বেরিয়েছে এর কভার। এবার বাংলাদের অন্যতম চর্চিত ‘অভিনেতা’ হিরো আলম এই গানটি গেয়ে ফের শিরোনাম কেড়েছেন। তবে তার এই গান শুনে কান ঝালাপালা হওয়ার জোগাড় হয়েছে নেটিজেনদের। তাদের মতে এত শ্রুতিমধুর একটি গানকে কার্যত নষ্ট করে ছেড়েছেন আলম।
কিন্তু এত সমালোচনার পরেও রবিবারের মধ্যেই তা দেখে ফেলেছেন চার লক্ষের বেশি মানুষ। জনপ্রিয় সিংহলি গানের সুরে ‘তেল গেল ফুরাইয়া… বাতি যায় নিভিয়া… কী হবে আর কান্দিয়া?’র মতো কথা সাজানো হয়েছে বাংলা ভাষায়।
অনেকেই বিরক্ত প্রকাশ করেছেন তার এই গানে। কেউ কেউ লিখছেন “গানটা শোনার পর আমি বেঁচে আছি আলহামদুলিল্লাহ”, একজন আবার লিখেছেন, “কোনও জীবিত ব্যক্তির পক্ষে এত সুন্দর গান গাওয়া সম্ভব না। সুন্দরভাবে গানটাকে ধর্ষণ করার জন্য অভিনন্দন আলম সাহেব।” হিরো আলমকে কেন এই গান গাইতে হবে? এমন প্রশ্ন অনেকেরই। তাদের উদ্দেশ্যে হিরো আলম বলেন, আপনাদের যা ভালো লাগে আপনারা করুন।আপনাদের ভালোলাগায় তো আমি নাগ গলাই না। তাহলে আমার গানটি ভালো লেগেছে বলে আমি কাভার করেছি।এ ক্ষেত্রে আপনারা কটু কথা বলছেন কেনো?