বাংলাদেশী হিরো গায়ক তথা নায়ক হিরো আলম। এক মানুষের মধ্যে এত গুণ যে থাকতে পারে সেটাই অনেকের কাছে ভাবার বিষয়। এখানেই শেষ নয় হিরো আলম গায়ক নায়ক হওয়ার পাশাপাশি সিনেমার পরিচালক ও প্রযোজকও বটে। এককথায় সর্বেসর্ব তিনি। তবে তাঁর গান শ্রুতিমধুর কম অত্যাচার বলে বেশ মনে হয় এমনটাই অভিযোগ নেটিজেনদের। আর এবার নিজের গানের জেরেই আইনি বিপাকে পড়লেন হিরো আলম।
নিজের সোশ্যাল মিডিয়াতে ও ইউটিউবে গান গেয়ে মিউজিক ভিডিও বানিয়ে শেয়ার করে থাকেন তিনি। যা দেখে নেটিজেনদের কিছুজন প্রশংসা করলেও বেশিভাগই জোটে কটাক্ষ। এমনই কিছুদিন আগে রবীন্দ্রসঙ্গীত গেয়ে তা শেয়ার করেছিলেন হিরো আলম। কিন্তু গান দেখা মাত্রই রবীন্দ্রসঙ্গীতকে বিকৃত করার অভিযোগ উঠেছিল তাঁর বিরুদ্ধে। এবার সেই গানের জেরেই আইনি নোটিশ গিয়ে পৌছালো তাঁর কাছে।
যেমনটা জানা যাচ্ছে ৩০ দিনের মধ্যে সোশ্যাল মিডিয়া থেকে সরিয়ে নেওয়ার জন্য আইনি নোটিশ পাঠানো হয়েছে। যেটা পাঠিয়েছেন বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী খন্দকার হাসান শাহরিয়ার। যদি তা না করা হয় তাহলে যথাযথ আইনি পদক্ষেপ নেওয়া হবে বলে জানিয়ে দেওয়া হয়েছে ওই নোটিশের মধ্যেই।
হিরো আলমকে পাঠানো আইনি নোটিশের বক্তব্য, ‘গানের মিউজিক ভিডিও বানানোর সময় সুর ও কথাকে বিকৃত করা হয়েছে। গান গাওয়ার অধিকার সবার থাকলেও সেটাকে বিকৃত করার অধিকার কারোর কাছেই নেই। ব্যবসায়িকভাবে রিমেক তৈরী করতে হলে গানের স্বত্ব যাদের কাছে রয়েছে তাদের থেকে অনুমতির নিয়ে তবেই তা করতে হবে’।
এখানেই শেষ নয়, নোটিশে হিরো আলমের কান্ড কারখানাকে ‘গণ উৎপাত’ বলে আখ্যা দিয়েছেন ওই আইজনজীবী। সাথে আগামী দিনে যদি এভাবে বিকৃত ও অশুদ্ধ ভাবে বাংলা উচ্চারণ থেকে শুরু করে অর্থনগ্ন নাচ বা অশ্লীল অঙ্গভঙ্গি করে মিউজিক ভিডিও তৈরি করতে পারবেন না তিনি, একথাও স্পষ্টভাবে জানিয়ে দেওয়া হয়েছে ওই নোটিশের মধ্যেই।
প্রসঙ্গত, যে গানের জেরে সমস্ত বিতর্ক সেটি বেশ কিছুদিন আগে সোশ্যাল মিডিয়াতে শেয়ার করেছিলেন তিনি। গানের মধ্যে কালিমা দেখিয়ে গিটার হাতে ‘আমার পরাণ যাহা চায়’ গাইতে দেখা গিয়েছিল তাকে। কিন্তু মুশকিল হল সেই গানের না ছিল সুর না ছিল ঠিক মত ভাষা বা লিরিক্স। যার জেরে নেটিজেনদের ব্যাপক কটাক্ষ ও কুরুচিকর মন্তব্যের সম্মুখীন হতে হয়েছিল তাকে।
হিরো আলম নিজের এই গানের আগেই সাফাই দিয়েছিলেন যে, গান গাওয়ার অথিকার সবার আছে। তাই আমি রবীন্দ্রসঙ্গীত পরিবেশ করে শোনাচ্ছি। যদিও পুরো গান গাননি তিনি মাত্র ২-৩ লাইন গানই গেয়েছিলেন। তবে সেটা যে এভাবে আইনি বিপাকে ফেলে দিতে পারে সেটা হয়তো ভাবতেও পারেননি হিরো আলম।