বাংলাদেশী হিরো গায়ক তথা নায়ক হিরো আলম (Hero Alom)। এক মানুষের মধ্যে এত গুণ যে থাকতে পারে সেটাই অনেকের কাছে ভাবার বিষয়। এখানেই শেষ নয় হিরো আলম গায়ক নায়ক হওয়ার পাশাপাশি সিনেমার পরিচালক ও প্রযোজকও বটে। এককথায় সর্বেসর্ব তিনি। তবে তাঁর গান শ্রুতিমধুর কম অত্যাচার বলে বেশ মনে হয় এমনটাই অভিযোগ নেটিজেনদের। আর এর জেরেই এবার জোর কেস খেয়েছেন তিনি। বাংলাদেশের লোকেরাই এবার তাঁর এই অত্যাচারে বিরুদ্ধে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন।
গানের নামে তাঁর কর্ম কাণ্ডের জেরে পুলিশের কাছে অভিযোগ জমা পড়েছে। আর তার জেরেই সম্প্রতি বাংলাদেশের পুলিশের কাছে গ্রেফতার হতে হয়েছে হিরো আলমকে (Hero Alom arrested)। সাবধান করা হয়েছে যাতে বিকৃতভাবে যেন কোনো গান ভবিষ্যতে তৈরী না করেন তিনি। শুধু তাই নয়, দিতে হয়েছে মুচলেখা। তবে এবার ঝামেলার মাঝেই একপ্রকার বিস্ফোরক মন্তব্য করে বসলেন হিরো আলম।

বিগত বেশ কিছুদিন ধরেই হিরো আলমকে গ্রেফতারির জন্য প্রতিবাদ চলেছিল বাংলাদেশে। এমনকি মানব বন্ধন পর্যন্ত তৈরী করে প্রতিবাদ জানান শতাধিক মানুষ। এরপরেই নড়েচড়ে বসে প্রশাসন ও গ্রেফতার করা হয় তাকে। তবে সম্প্রতি সংবাদ মাধ্যমের কাছে হিরো আলম জানান, পুলিশ তাকে মানসিকভাবে নির্যাতন করছে। আতঙ্কের মধ্যে রয়েছেন তিনি।
তবে শুধু মানসিক নির্যাতনের অভিযোগ করেই থামেননি হিরো আলম। হিরো আলমের মতে, তাঁর বিরুদ্ধে অকারণেই ঘৃণা ছড়ানো হচ্ছে চারিদিকে। দরিদ্র পরিবারের সন্তান তার ওপর গায়ের রং কালো, এই কারণেই এমন ঘৃণা ছড়ানো হচ্ছে।

আসলে এই সমস্ত কিছুর সূত্রপাত হয় রবীন্দ্র সংগীতকে বিকৃত করার পর থেকেই। নিজের একটি মিউজিক ভিডিওতে ‘আমার ও পরাণ যাহা চায়’ গানটিকে বিকৃত করে গাওয়ার জেরে ক্ষুদ্ধ হয়ে ওঠেন নেটিজেনরা। হিরো আলমের সেই গান যে আদতে অত্যাচার এমনটাই মন্তব্য করেছেন নেটিজেনদের বৃহৎ একটা অংশ। এমনকি তাঁর প্রতিটা গানকেই ‘গণ উৎপাত’ বলে দাবি করেছেন সকলে।

প্রসঙ্গত, শুধুই কটাক্ষ ও অপমান নয় হিরো আলমের গানকে ভালোবাসা দিয়েও ভড়িয়েছেন অনেকেই। এর প্রমাণ তাঁর সোশ্যাল মিডিয়া প্রোফাইল ও ইউটিউবের লোকের সংখ্যা। হিরো আলম বরাবরই বলেন, বাক স্বাধীনতা তো সকলেরই রয়েছে। গান ভালোবাসেন বলেই তিনি গান করেন।














