বলিউডের জনপ্রিয় পাওয়ার কাপলদের মধ্যে অন্যতম হেমা মালিনী এবং ধর্মেন্দ্রর জুটি। সম্পর্কের চার দশক পেরিয়ে গেলেও আজও এভারগ্রীন তাঁদের দাম্পত্যজীবন। আর আজ বলিউডের ড্রিম গার্ল হেমা মালিনীর জন্মদিন। এদিন ৭৩ বছরে পা দিলেও আজও তাঁর রূপের জাদুতে মুগ্ধ গোটা দুনিয়া। প্রিয় অভিনেত্রীর জন্মদিনে ভক্তদের শুভেচ্ছা বার্তায় ভরে গিয়েছে সোশ্যাল মিডিয়া।
অভিনয়ের পাশাপাশি তিনি একজন ভালো নৃত্যশিল্পী হিসাবেও পরিচিত। উল্লেখ্য হেমা একজন প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত ভরতনাট্যম ডান্সার। অথচ দুই মেয়ে এষা দেওল এবং অহনা দেওলকে শিখিয়েছেন ক্লাসিক্যাল ডান্স। ওঁদের বাবা,অর্থাৎ ধর্মেন্দ্র বরাবরই রক্ষণশীল চিন্তাধারার মানুষ। তাই তিনি চাইতেন না এষা আর অহনা নাচ শিখুক।
কিন্তু শুরু থেকেই দুই মেয়ের পাশে ঢাল হয়ে দাঁড়িয়েছিলেন স্বয়ং হেমা। এমনকী মেয়েদের পোষাক এবং সিনেমায় নামা নিয়েও আপত্তি তুলেছিলেন ধর্মেন্দ্র। তার জন্য একাধিকবার ধর্মেন্দ্রর বিরুদ্ধেও সুর চড়িয়ে ছিলেন তিনি। এ প্রসঙ্গে একবার এক সাক্ষাৎকারে হেমা বলেছিলেন ‘প্রথমদিকে ওর রক্ষণশীল চিন্তাভাবনা আমাকে আশ্চর্য করে দিত।’
সেইসাথে অভিনেত্রীর আরও সংযোজন ‘মেয়েদের বলত ছোট টপ না পরতে, টাইট ফিটিংস জামা না পরতে। আর আমি বলতাম, না তুমি এখনও প্রাচীণ যুগে বাস করছো। মেয়েরা ভালো জামা কাপড় পরবে, মেকআপ করবে, এটা এখনকার দিনে খুব সাধারণ একটা ব্যাপার। মেয়েদের অভিনয়ের জগতে আসা নিয়েও বিরক্তি প্রকাশ করত ধর্মেন্দ্র। তখন আমাকে আসরে নামতে হত। বলতে হত, না তুমি ভুল করছ।’
আহানা আর এষাকে নাচ শেখানোর বিষয়ে নিজের মতামত দিয়ে ধর্মেন্দ্র বলেছিলেন, ‘ওদের নাচ শিখিয়ো না, এরপর ওরা অভিনয় করতে চাইবে’! ফুঁসে উঠে হেমা জানিয়েছিলেন, ‘না এটা হতে পারে না। তুমি তো ওদের নিজের মতো করে বাঁচতে শিখিয়েছো। আর যদি কোনও সমস্যা হয়, ওরা আমাকে ঢালের মতো পাবে।’ পরে অবশ্য তিনি জানতে পারেন তাঁর দুই মেয়ে শাস্ত্রীয় নৃত্য শিল্পী। তখন তিনি অনুমতি দেওয়ার পাশাপাশি এষার অভিনয়ে জগতে আসাও মেনে নেন।