
এই মুহূর্তে গোটা বাংলার মানুষ প্রার্থনা করছেন যাতে যত দ্রুত সম্ভব সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরতে পারেন অভিনেত্রী ঐন্দ্রিলা শর্মা (Aindrila Sharma)। গত মঙ্গলরাতে আচমকাই আসে খবর। জানা যায় ব্রেন স্ট্রোকে (Brain Stroke) আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ‘জীয়ন কাঠি’ সিরিয়ালের নায়িকা। সেই থেকে বিগত কয়েকদিন ধরেই হাওড়ার একটি বেসরকারি হাসপাতালে চিকিসাধীন রয়েছেন অভিনেত্রী।
হাসপাতালসূত্রে খুব এই মুহূর্তে ভেন্টিলেশন সাপোর্টে রয়েছেন ঐন্দ্রিলা। তবে আশার খবর এই যে সোমবার অর্থাৎ আজ ঐন্দ্রিলার শারীরিক পরিস্থিতির সামান্য উন্নতি হয়েছে। এছাড়াও জানা যাচ্ছে, অভিনেত্রীর শরীরে সংক্রমণের মাত্রাও নাকি অনেকটা কমেছে। আপাতত অভিনেত্রীর গায়ে জ্বর নেই। তবে এখনও পর্যন্ত তাঁকে অ্যান্টিবায়োটিক দেওয়া হচ্ছে বলেই খবর।
এছাড়া জানা যাচ্ছে বাঁ হাত নাড়ানোর পাশাপাশি অভিনেত্রীর শরীরের বাঁ-দিকেও সাড় ফিরেছে। সেইসাথে নাকি আগের থেকে কমেছে ভেন্টিলেশন সাপোর্টের পরিমাণও। এখন সি-প্যাপ মোডে রয়েছে। রক্তচাপ এবং অক্সিজেনের মাত্রাও এখন স্বাভাবিক রয়েছে অভিনেত্রীর শরীরে। তবে স্নায়ুর অবস্থার বদল ঘটেনি এখনও। তাই চিকিৎসকরা জানিয়েছেন, এখনও বিপদমুক্ত নন ঐন্দ্রিলা।
প্রসঙ্গত ইতিপূর্বে দু-দুবার ক্যান্সারের মতো মারণব্যাধিকে হারিয়েছেন ঐন্দ্রিলা। ক্যান্সার থেকে সেরে উঠে সবেমাত্র স্বাভাবিক জীবনে ফিরেছিলেন অভিনেত্রী। মাঝেমধ্যেই টুকটাক শুটিংও করছিলেন তিনি। ইতিতিমধ্যেই সেরে ফেলেছিলেন একটি ওয়েব সিরিজের কাজ। অসংখ্য মানুষের কাছেই অনুপ্রেরণা তিনি। তাই অনুরাগীদের কাছে তিনি ‘ফাইটার’ নামেই বেশি পরিচিত।
সারা বাংলার মানুষ ঈশ্বরের কাছে প্রার্থনা করছেন যাতে এবারও লড়াইটা জিততে পারেন এই মিষ্টি অভিনেত্রী।ঐন্দ্রিলার অসুস্থ হওয়ার পর তাঁর মা সংবাদমাধ্যমে জানিছিলেন মঙ্গলবার বাড়িতে থাকা অবস্থাতেই অসাড় হয়ে গিয়েছিল অভিনেত্রীর গোটা শরীর। শুরু হয়েছিল বমিও। ওই অবস্থাতেই তড়িঘড়ি তাঁকে হাসপাতালে নিয়ে যেতেই চিকিৎসকরা জানিয়েছিলেন অভিনেত্রীর মস্তিষ্কে রক্তক্ষরণ শুরু হয়ে গিয়েছে।
সেই মুহূর্তেই দেরি না করে অস্ত্রোপচার হয় ঐন্দ্রিলার মস্তিকে। তারপর থেকেই কোমায় চলে গিয়েছিলেন তিনি।যদিও পরদিন ২৪ ঘন্টার মধ্যেই চোখ মেলে তাকিয়েছিলেন ঐন্দ্রিলা। অন্যদিকে অভিনেত্রীর অসুস্থতার খবর জানাজানি হতেই চারিদিকে রটতে শুরু করে নেতিবাচক সব খবর। তাই বাধ্য হয়েই মুখ খুলেছিলেন ঐন্দ্রিলার প্রেমিক তথা অভিনেতা সব্যসাচী চৌধুরী। তিনি সাফ জানিয়ে দিয়েছিলেন ‘নিজের হাতে করে নিয়ে এসেছিলাম, নিজের হাতে ওকে বাড়ি ফিরিয়ে নিয়ে যাবো। এর অন্যথা কিছু হবে না’।