এই দুনিয়ায় মানুষের রোগের সামনে সবই তুচ্ছ। তাই রূপ, যৌবন সবই ক্ষণস্থায়ী। সময়ের অমোঘ নিয়মে কোনো টাই আমাদের সাথে চিরকাল থাকে না। যার সাম্প্রতিকতম উদাহরণ হলেন মিস ইউনিভার্স (Miss Universe) হরনাজ কৌর সান্ধু। গতবছর অর্থাৎ ২০২১ সালে ইজরায়েলের ইলাতে ইউনিভার্স ডোমে আয়োজিত আন্তর্জাতিক সৌন্দর্য প্রতিযোগিতায় অংশ নিয়েছিলেন পাঞ্জাবের বাসিন্দা হরনাজ কৌর সান্ধু (Harnaaz Kaur Sandhu)।
২১ বছর পর ২০২১ সালে মিস ইউনিভার্সের (Miss Universe) খেতাব জিতে বিশ্বের দরবারে ভারতের মুখ উজ্জ্বল করেছিলেন ২১ বছর বয়সী এই তরুণী। হারনাজের এই সাফল্যে গর্বিত গোটা দেশ। তাঁর ভদ্র এবং বিনয়ী স্বভাব মন জয় করে নিয়েছে গোটা বিশ্বের। প্রসঙ্গত সুস্মিতা সেন এবং লারা দত্তের পর তৃতীয় ভারতীয় হিসেবে ‘মিস ইউনিভার্স’ খেতাব জিতেছেন হারনাজ।
ফলে ২১ বছর পর এমন এক গর্বের মুহুর্তের সাক্ষী হতে পারা নিঃসন্দেহে আনন্দের। গত বছরের ডিসেম্বরেই দেশে ফেরেন হারনাজ। মিস ইউনিভার্সের খেতাব জেতার পর ইতিমধ্যেই হারনাজকে দেখা গিয়েছে বিভিন্ন ইভেন্টে। হেঁটেছেন ল্যাকমে ফ্যাশন উইকের র্যাম্পেও। কিন্তু মিস ইউনিভার্সের আন্তর্জাতিক মঞ্চের সেই স্লিম-ট্রিম হারনাজ কোথায়? এখন ওজন বৃদ্ধির ফলে অনেক শারীরিক পরিবর্তন হয়েছে তাঁর।
তাই একসময় তাঁর যে চাবুক ফিগার আর বোল্ড ছবির নেশায় বুঁদ ছিল গোটা ভার্চুয়াল জগৎ এখন তাদের কাছেই এই বিশ্ব সুন্দরী এখন রীতিমতো হাসির পাত্র। তাকে নিয়ে চলছে দেদার ট্রোলিং। তবে চেহারায় এমন আমূল পরিবর্তন সম্পর্কে অবশ্য চুপ থাকেননি হারনাজ। বরং প্রকাশ্যেই জানিয়েছেন জটিল সেলিয়াক ডিজিজে (Celiac disease)আক্রান্ত হওয়ার কথা।
আসলে হারনাজ খুব ছোট থেকেই জটিল রোগ সেলিয়াকে আক্রান্ত। পুরনো এই রোগের জন্য একসময় তাঁকে হাসপাতালে ভর্তি হতে হয়েছিল, সেই রোগই এখন আবার ফিরে এসেছে। সম্প্রতি চণ্ডীগড়ে এক অনুষ্ঠানে হরনাজ বলেছেন ‘কেউ জানেন না আমার সেলিয়াক ডিজিজ সম্পর্কে। যে আমি আটা, ময়দা আর খেতে পারিনা, আরও অনেক কিছুই খেতে পারি না।’ সম্প্রতি ইনস্টাগ্রামে আকাশি নীল রঙের একটি শর্ট ড্রেসে ঝলমলে ফটোশ্যুটের ছবি শেয়ার করেছিলেন হারনাজ। এই পোস্টের ক্যাপশনে তিনি লিখেছেন, ‘আপনার শরীরের আকারের চেয়ে আপনার মনের আকৃতি বেশি গুরুত্বপূর্ণ।’