বিনোদন জগতের এক অন্যতম পরিচিত অভিনেত্রী হলেন হাংসিকা মোটয়ানী (Hansika Motwani)। শুরুটা শিশুশিল্পী হিসাবে হলেও অভিনয় করতে করতেই আজকের সুন্দরী যুবতী অভিনেত্রী হয়ে উঠেছেন হাংসিকা। শৈশবে ‘সোনপরী’, ‘শাকালাকা বুম বুম’, ‘কিঁউকি সাস ভি কভি বহু থি’, ‘করিশ্মা কা করিশ্মা’-সহ বহু ধারাবাহিকে শিশু শিল্পী হিসাবে অভিনয় করেই দর্শকদের মন জয় করেছিলেন হান্সিকা।
ছোট পর্দার পাট চুকিয়ে কিছুদিনের মধ্যেই বলিউডে যাত্রা শুরু করেন হান্সিকা। ২০০৩ সালে হৃত্বিক রোশনের ব্লকবাস্টার সিনেমা ‘কোই মিল গ্যয়া’-(Koi mill Gaya) তে শিশুশিল্পী হিসাবে আত্মপ্রকাশ হয় হংসিকার। আর এই সিনেমার পরেই ২০০৭ সালে সবাইকে অবাক করে দিয়ে ১৬ বছরের হংসিকা জুটি বাঁধেন ৩৪ বছর বয়সি হিমেশ রেশমিয়ার (Himesh Reshmia) সাথে ‘আপ কা সুরুর’ ছবিতে।
মাত্র ৪ বছরে হংসিকার চেহারার বিপুল পরিবর্তন দেখে চোখ কপালে ওঠে দর্শকদের। বিটাউনে শুরু হয় জোর গুঞ্জন, নায়িকাসুলভ চেহারা তৈরি করার জন্য হরমোনাল ইঞ্জেকশন নিয়েছিলেন তিনি। আর তার এই চিকিৎসায় তাকে সাহায্য করেছিলেন তার মা। উল্লেখ্য মুম্বইয়ের সিন্ধি পরিবারে মেয়ে হংসিকার মা মোনা পেশায় একজন চিকিৎসক।
তবে এই ইঞ্জেকশন নেওয়ার বিষয়ে হংসিকা কিংবা তাঁর মা মোনা কেউ কোনওদিন মুখ খোলেননি। শোনা যায় হাংসিকার অভিনেত্রী হওয়ার পিছনে রয়েছে তার মায়ের বিশেষ অবদান। আসলে পেশায় ত্বক বিশেষজ্ঞ মোনার কাছে প্রায়ই পরামর্শের জন্য আসতেন বলিউডের নায়িকারা। একবার মোনার সাথেই হাংসিকাকে দেখে জুহি চাওল বলেছিলেন, হংসিকার উচিত টিভিতে অভিনয় করা।
এরপর হংসিকাকে টেলিভিশনে প্রথম সুযোগ দেন অরুণা ইরানি। তবে ছোটো বেলায় টেলিভিশন জগতে চুটিয়ে অভিনয় করলেও বড়ো হওয়ার পর বলিউডে জায়গা পাকা করতে পারেননি অভিনেত্রী। উল্টে দক্ষিণী ফিল্ম ইন্ডাস্ট্রিতে দারুন সফল হান্সিকা। শোনা যায় দক্ষিণে হংসিকা এতটাই জনপ্রিয়,যে অনুরাগীরা মাদুরাইয়ে তাঁর নামে মন্দিরও তৈরি করেছেন।