নারী পুরুষ নির্বিশেষে সকলেই সুন্দর চুল পেতে চান। কিন্তু দিন দিন বাড়তে থাকা দূষণ থেকে ব্যস্ত লাইফস্টাইলে যত্নের অভাব এর কারণে চুলের বারোটা বেজে যায় অনেকেরই। অসময়ে চুল ঝরে যাওয়া, চুল পাতলা হয়ে যাওয়া থেকে শুরু করে চুল পেকে যাওয়ার মত হাজারো সমস্যা (Hair Problems) দেখা দেয়। এই সমস্যার সমাধানের জন্য দামি ওষুধ থেকে কেমিক্যাল ব্যবহার করেন অনেকেই। তবে চাইলে প্রাকৃতিক উপায়েই এই চুলের সমস্যার সমাধান হতে পারে। আজ বংট্রেন্ডের পাতায় প্রাকৃতিক উপায়ে চুল পড়ার সমস্যা দূর করার উপায় নিয়ে হাজির হয়েছি।
১. নিমপাতা : নিম হল এমন একটি গাছ, যার পাতা থেকে মূল সবটাই মানুষের উপকারে লাগে। তাছাড়া আয়ুর্বেদেও নিমের গুরুত্ব রয়েছে বিশাল। চুলের যত্নের জন্য যে সমস্ত প্রোডাক্ট ব্যবহার করা হয় তার মধ্যেও নিমের ব্যবহার করা হয়। তবে চাইলে বাড়িতেই নিমপাতা (Neem Leaf) ব্যবহার করে চুলের একাধিক সমস্যার থেকে সমাধান পাওয়া সম্ভব।
চুল পড়ার সমস্যা দূর করার জন্য একটা পাত্রে চারকাপ মত জল নিয়ে তাতে একমুঠো নিমপাতা দিয়ে ভালো করে ফুটিয়ে নিতে হবে। এরপর সেই জল ছেঁকে ঠান্ডা করে নিয়ে ভালো করে মাথায় মেখে ৩০ মিনিট রেখে ধুয়ে পরিষ্কার করে নিলেই চুলের উকুন, খুশকির সমস্যা দূরে চলে যাবে। যেটা আসলে চুলের ঝড়ে যাওয়া আটকাবে।
২. পেঁয়াজ : বাড়িতে রান্নার জন্য ব্যবহার হওয়া পেঁয়াজ (Onion) চুলের যত্নের জন্য ম্যাজিকের মত কাজ করে। কারণ পেঁয়াজের মধ্যে সালফার ও অ্যান্টিব্যাকটেরিয়াল উপাদান থাকে এজটা রক্তচলাচল বাড়িতে দেয়। আর চুলের গোড়ায় থাকা ব্যাকটেরিয়াকে শেষ করে দেয়।
তাই চুলের সমস্যা দূর করতে সপ্তাহে দুদিন পেঁয়াজ ব্যবহার করা যেতে পারে। এর জন্য পেঁয়াজের রস বের করে নিতে হবে। আর সেই রস ভালো করে মাথায় মেখে ৩০-৪০ মিনিট মত অপেক্ষা করতে হবে। তারপর শ্যাম্পু করে চুল ধুয়ে নিতে হবে। এভাবে করলে ২-৩ সপ্তাহের মধ্যেই ফল পেয়ে যাবেন।
৩. রিঠা : রিঠা (Reetha) ফলের নাম অনেকেই শুনেছেন, বা চুলের যত্নের জন্য যে সমস্ত প্রোডাক্ট কেনেন তাতেও দেখেছেন। আগেকার দিনে শ্যাম্পুর এত পরিমাণ চল ছিল না। সেই সময় মানুষ রিঠা ব্যবহার করেই শ্যাম্পু করতেন। এটিকে প্রাকৃতিক শ্যাম্পুও বলা যেতে পারে।
তাই চাইলে কেমিক্যালি তৈরী করা শ্যাম্পুর বদলে রিঠাও ব্যবহার করতে পারেন। এর জন্য প্রথমে রিঠা ফল সারারাত জলে ভিজিয়ে রাখতে হবে। পরের দিন শ্যাম্পুর মত গোটা মাথায় ভালো করে ঘষে মেখে নিতে হবে। আর শ্যাম্পুর মতোই জল দিয়ে ধুয়ে নিতে হবে।