সিরিয়ালের পল্ট যেন বদলাচ্ছে মুহূর্তে মুহূর্তে! এই হাসি খুশি তো পরের মুহূর্তেই কোথা থেকে সমস্ত ব্যাপারটা জটিল হয়ে যাচ্ছে। খড়কুটো (khorkuto) সিরিয়ালে সবে মাত্র কিছুদিন হল মিটেছিলে সৌজন্য-গুনগুনের মধ্যে মন কষাকষি। বাপের বাড়ি ছেড়ে শশুরবাড়ি ফিরেছিল গুনগুন। তাছাড়া সৌজন্যকে ডিভোর্স দেবার ব্যাপারটাও মিটে গিয়েছিল। উল্টে দুজনের মধ্যেকার সম্পর্ক ফের জোড়া লাগতে শুরু করেছিল। যা দেখে দর্শকেরাও বেশ খুশি হয়েছিল।
কিন্তু সেই খুশি আর বেশি দিন রইল না! প্রজেক্টের সাফল্যের পার্টিতে গুনগুনকে সাথে নিয়ে গিয়েছিল সৌজন্য। সেখানে তিন্নি গুনগুনকে যাচ্ছে তাই ভাবে অপমান করে। যদিও গুনগুন একেবারে যোগ্য জবাব দিয়ে মুখ বন্ধ করে দিয়েছিল তিন্নির তবে সে কেন অপমান নিতে যাবে! সৌজন্যকে তো সে আগেই বারণ করেছিল যে তিন্নি যেখানে থাকবে সেখানে যেন গুনগুনকে না নিয়ে যায় সৌজন্য। তাহলে কেন আবার তিন্নির কাছে অপমানিত হতে হল গুনগুনকে?
এই প্রসঙ্গে জুড়তে বসা সম্পর্কের মাঝে আবারো ছেদ পড়তে শুরু হয়েছে। সৌজন্যকে আবারো ডিভোর্স দিতে চাইছে গুনগুন। ইতিমধ্যেই ড্যাডিকে ফোন করে ডিভোর্সের ব্যাপারটা জানিয়েছে সে। গুনগুনের বাবাও হাজির হয়েছে গুনগুনকে নিয়ে যাবার জন্য। কিন্তু সৌজন্যের পরিবার যে গুনগুনকে ছাড়তে নারাজ। ওদিকে গুনগুন নিজেও পরিবারের সকলকে বেশ ভালোবেসে ফেলেছে।
এখানেই শুরু প্লট টুইস্টের। এক দিকে সৌজন্যের সাথে সম্পর্ক রাখতে চাইছে না গুনগুন। অন্যদিকে পটকা, জেঠাই, সৌজন্যের বাবা ও বাকি সকলের থেকে দূরেও যেতে চায় না সে। একদিকে যেমন ডিভোর্স চাইছে তেমনি চাইছে ডিভোর্সের পরেও এবাড়িতেই থাকতে। এই কথা শুনে অবাক সৌজন্য! বাড়ির সকলে গুনগুনকে সাপোর্ট করছে অথচ বাবিনের দলে নেই কেউ! এই নিয়েই চলছে তর্ক বিতর্ক।
অবশ্য গুনগুন যে আদতে সৌজন্যকে ভালোবাসে সেটা সকলেই বেশ ভালো করে বুঝতে পেরেছে। এমনকি গুনগুনের ডিভোর্স দেবার ব্যাপারটা এখন সেভাবে কেউ সিরিয়াসলি নিচ্ছেও না। তাহলে কি আবারো কিছুদিন ডিভোর্স এর ব্যাপার চলবে খড়কুটোয়? এখন এই প্রশ্নই জাগছে দর্শকদের মনে। সবে হারানো জনপ্রিয়তা ফিরে পাচ্ছে খড়কুটো। সেখানে আবার ডিভোর্সের পল্ট টুইস্ট কতটা সফল হবে বা দর্শকদের মন জয় করবে সেটাই এখন দেখার বিষয়।