বিনোদন বলতে প্রথমেই যে জিনিসটা মাথায় আসে সেটা হল সিনেমা। টলিউড (Tollywood) হোক বা বলিউড (Bollywood) দুই ইন্ডাষ্ট্রিতেই একাধিক দুর্দান্ত অভিনেতা অভিনেত্রী রয়েছেন। সিনেমার নায়ক নায়িকা ছাড়াও এমন একাধিক চরিত্র রয়েছে যারা বারেবারে দর্শকদের মনে দাগ কেটে গিয়েছে। বিশেষত আশির দশকের সিনেমার মধ্যে কৌতুকের মধ্যে দিয়েও বিখ্যাত হয়েছিলেন এক অভিনেতা। তিনি হলেন কেষ্ট মুখার্জী (Keshto Mukherjee)।
বিখ্যাত এই অভিনেতাকে একবার দেখলেই সকলে চিনতে পারবেন এটা নিঃসন্দেহে বলা যায়। সিনেমার পর্দায় মাতালের ভূমিকায় বারেবারে দেখা গিয়েছে অভিনেতাকে। প্রতিবারেই মাতলামির দুর্দান্ত অভিনয় প্রশংসিত হয়েছে। এমনকি ‘পর্দার মাতাল’ উপাধিও জুড়েছিল অভিনেতার নামের সাথে। কিন্তু জানলে অবাক হবেন অভিনেতা নিজের গোটা জীবনে কোনোদিনও ছুঁয়েও দেখেননি মদ।
কলকাতাতেই জন্ম নিয়েছিলেন বিখ্যাত অভিনেতা কেষ্ট মুখার্জী। একসময় পথ নাটিকায় দেখা মিলিত অভিনেতার তবে সিনেমায় অভিনয়ের প্রতি টান সেভাবে ছিল না। বিশিষ্ট বাঙালি পরিচালক ঋত্বিক ঘটক তার মধ্যেকার অভিনেতাকে বুঝতে পেরেছিলেন, ‘নাগরিক’ ছবি দিয়ে টলিউডেই শুরু করিয়েছিলেন অভিনেতার ফিল্মি কেরিয়ার। যদিও জানলে অবাক হবেন জীবনের প্রথম ছবিটাই বেঁচে থাকাকালীন রুপোলি পর্দায় রিলিজ হয়নি।
মূলত বলিউডের ছবিতেই দেখা গিয়েছে অভিনেতাকে। তবে তার মৃত্যুর পর অভিনয় জগতের শুরুর সময়ের ‘নাগরিক’ ছবিটি মুক্তি পায় রুপোলি পর্দায়। ‘তিসরী কাসম’, ‘জিতা দিল’ ছবিতে তার দুর্দান্ত অভিনয় ও কৌতুকবোধ মুগ্ধ করেছিল দর্শকদের। খুব কম সময়েই সিনেমার নায়ক না হয়েও বেশ খ্যাতি অর্জন করেছিলেন অভিনেতা।
অভিনয় করেছিলেন বেশ কিছু আইকনিক ছবি ‘জঞ্জির’, ‘আপ কি কসম’, ‘শোলে’তে। তবে অভিনেতার সেরা কমেডি দৃশ্য বলতে ১৯৭৯ সালের ‘গোলমাল’ ছবিতে উৎপল দত্তের সাথে থানার দৃশ্যটি আজও সেরা দর্শকদের কাছে। যাকে বলে প্রাণবন্ত হাসির দৃশ্যে অভিনেতার জুড়ি মেলা ভার।
অবশ্য শুধুই যে দর্শকেরা মুগ্ধ হতেই অভিনেতার অভিনয়ে তা কিন্তু নয়। কেষ্ট মুখার্জী ছিলেন এমনই এক অভিনেতা যিনি সেলিব্রিটিদেরও খুব পছন্দ ছিলেন। ১৯৮৫ সালে বিখ্যাত অভিনেতা কেষ্ট মুখার্জী প্রয়াত হন। তবে তিনি চলে গেলেও দর্শকদের মনে আজও ততটাই রয়ে গিয়েছেন তার অভিনীত ছবিগুলির মধ্যে দিয়ে।