বাংলা টেলিভিশনে এই মুহূর্তে টিআরপির দিক থেকে যে ধারাবাহিকগুলি সবচেয়ে এগিয়ে তার মধ্যে নাম রয়েছে ‘গৌরী এলো’র (Gouri Elo)। টিআরপি লিস্টে প্রথমদিকেই নাম থাকে এই ধারাবাহিকের। দর্শকদের গৌরী এবং ঈশানের রসায়ন বিশেষ পছন্দের। এই মুহূর্তে টেলি দুনিয়ার অন্যতম জনপ্রিয় জুটিও কিন্তু তাঁদেরই।
তবে পর্দার এই জনপ্রিয় জুটির কিন্তু বাস্তবে বয়সের বিস্তর ফারাক। ‘গৌরী এলো’র নায়িকা মোহনা মাইতি (Mohona Maiti) দশম শ্রেণির ছাত্রী। অপরদিকে নায়ক ঈশান অর্থাৎ অভিনেতা বিশ্বরূপ বন্দ্যোপাধ্যায় (Bishwarup Bandyopadhyay) কাজ করতেন একটি কর্পোরেট অফিসে। সেই কাজ ছেড়ে পা দিয়েছেন অভিনয় দুনিয়ায়। পর্দার গৌরী-ঈশানের বয়সের ফারাক প্রায় ১৮ বছরের।
সম্প্রতি এক নামী সংবাদমাধ্যমের তরফ থেকে মোহনার সঙ্গে বয়সের ফারাক নিয়ে বিশ্বরূপকে জিজ্ঞেস করা হয়েছিল। যা শুনে হাসতে হাসতে অভিনেতা বলেন, ‘আমার প্রত্যেক নায়িকার আমার চেয়ে ছোট হয়। এতটাই ছোট যে ভাই-বোন নয়, যদি কাকা-ভাইঝিও বলা হয়, তাহলেও মন্দ হয় না’।
তবে নায়ক-নায়িকার বয়সে যেখানে এতটা ফারাক, সেখানে পর্দায় ঘনিষ্ঠ দৃশ্যে অভিনয় করতে অসুবিধা হয় না? এই প্রশ্নও রাখা হয়েছিল বিশ্বরূপ এবং মোহনার সামনে। জবাবে পর্দার গৌরী বলেন, ‘বিশ্বদার সঙ্গে রোম্যান্টিক দৃশ্য করতে কোনও অসুবিধাই হয় না। আমায় এমনিতে প্রচণ্ড জ্বালায়। সব সময় আমার পিছনে লাগে। তবে সম্পর্কটা দারুণ। তাই কোনও সমস্যাই হয়নি’।
অপরদিকে নায়ক ঈশানের কথায়, নিজের কেরিয়ারে ছোট নায়িকাদের সঙ্গে এত কাজ করে ফেলেছেন যে এখন আর কোনও অস্বস্তিই হয় না। বিশ্বরূপের কথায়, ‘আসলে এখন ছোট নায়িকাদের সঙ্গে কাজ করতে করতে আমি অভ্যস্ত হয়ে গিয়েছি। তালসারিতেও যখন শ্যুটিং করতে গিয়েছিলেন, তখনও ওঁকে সব বুঝিয়ে বুঝিয়ে দিতাম। খুব বেশি অস্বস্তি হয়নি’।
মোহনা-বিশ্বরূপের মধ্যে বয়সের ফারাক থাকলেও, পর্দার গৌরী –ঈশানের জুটি কিন্তু একেবারে হিট। প্রত্যেক সপ্তাহে প্রকাশিত টিআরপি তালিকাই সেই কথার প্রমাণ। দর্শকদের যে এই জুটি বেশ মনে ধরেছে, তা শোয়ের বিপুল জনপ্রিয়তা দেখতেই কিন্তু বেশ বুঝে নেওয়া যায়।