পথে ঘাটে ট্রেনে বাসে প্রায়শই আমাদের চোখে পড়ে অর্থের অভাবে মানুষের দুর্দশা। যারা প্রতিনিয়ত পেট চালানোর জন্য হাত পাতে অন্য মানুষের কাছে। সমাজের এই ধনি দরিদ্রের বিভাজন আজকের নয়। চিরকালই ধনিদের উপর নির্ভর করেই দরিদ্রদের বেঁচে থাকতে হয়। কারণ এটা খুব কঠিন বাস্তব হলেও সত্যি যে, অর্থ ছাড়া জীবনে বেঁচে থাকা কার্যত অসম্ভব। আর এই অর্থের অভাবেই মানুষ ভিক্ষা করতে বাধ্য হয়। কিন্তু কেউ কেউ পেটের তারনায় ভিক্ষা করলেও কেউ কেউ কার্যত এটাকে ব্যবসা বানিয়ে নিয়েছেন।
আজ আপনাদের এমন কিছু ভিখারির কথা বলব যাদের উপার্জনের অঙ্ক শুনলে চোখ কপালে উঠতে বাধ্য আপনাদের। চিনে নিন ভারতে কয়েকটজন অতি ধনী ভিক্ষুকদের, যারা অ্যাপার্টমেন্ট, প্রচুর সম্পত্তি এবং বিশাল ব্যাংক ব্যালেন্স থাকা সত্তেও রাস্তায় ভিক্ষা করে চলেছেন।
ভারত জৈন –
ভারত জৈন বেশিরভাগ মুম্বইয়ের পারেল অঞ্চলে কাজ করেন। ৭০ লক্ষ মূল্যবান দুটি অ্যাপার্টমেন্টের মালিকানা ছাড়াও,তিনি মাসে প্রায় ৭৫ হাজার টাকা আয় করেন বলে ধারণা করা হয় ।
লক্ষ্মী দাস –
লক্ষ্মী ১৯৬৪ সাল থেকে কলকাতায় ভিক্ষা করেন লক্ষ্মী। ১৬ বছর বয়স থেকেই ভিক্ষা শুরু করেন তিনি এবং ৫০ বছরেরও বেশি এই পেশায় যুক্ত থেকে তাঁর সাধ্যমতো সাশ্রয় করেছিলেন এবং একটি ব্যাংক অ্যাকাউন্ট এবং প্রচুর টাকা জমিয়েছেন বলে খবর।
পাপ্পু কুমার –
দুর্ঘটনায় পা ভেঙে যাওয়ার পরে পাপ্পু জীবিকা নির্বাহের জন্য পাটনার রেল প্ল্যাটফর্মে ভিক্ষা শুরু করেন। কিছু রিপোর্ট অনুসারে , কুমারের সম্পদ রয়েছে ১.২৫ কোটি টাকা।
সর্বতীয়া দেবী –
পাটনার অশোক সিনেমার পিছনে বাস করা আরও বিশিষ্ট ভিক্ষুকদের মধ্যে সর্বতীয়া। স্পষ্টতই, তিনি প্রতি মাসে ৫০,০০০ টাকা আয় করেন এবং বার্ষিক বিমা প্রিমিয়ামে ৩৫ হাজার টাকা প্রদান করেন ।
মাসু –
মাসু সন্ধ্যা ৮ টার দিকে ভিক্ষা শুরু করে বলে জানা গেছে । তিনি বেশিরভাগ টেলিভিশন এবং ফিল্ম তারকাদের দ্বারা পরিদর্শন করা হাইপ্রোফাইল রেস্তোরাঁগুলির বাইরে ভিক্ষা করেন।
কথিত আছে, তিনি প্রতিদিন গড়ে ১,০০০ টাকা থেকে ১,৫০০ টাকার মধ্যে উপার্জন করেন। অন্ধেরি পশ্চিমের আম্বোলিতে তার ওয়ান বিএইচকে ফ্ল্যাট ছাড়াও তিনি অন্ধেরি প্রাচ্যেও একটি ফ্ল্যাটের মালিক বলে জানা গেছে।