সপ্তাহের শুরুর দিনটাই সকাল থেকে কেমন তেতো হয়ে উঠেছে। একের পর এক উৎসব শেষে চারিদিকে যে শূন্যতা কাজ করছিল অভিনেত্রী সোনালি চক্রবর্তীর প্রয়াণ তা যেন আরো কয়েকগুণ বাড়িয়ে দিল। বাংলা বিনোদন জগতের অত্যন্ত পরিচিত একজন বর্ষীয়ান অভিনেত্রী ছিলেন সোনালি চক্রবর্তী (Sonali Chakraborty)। অভিনেতা শংকর চক্রবর্তীর স্ত্রী (Shankar Chakraborty’s Wife) তিনি।
দীর্ঘদিনের অভিনয় জীবনে তিনি অভিনয় করেছেন বিনোদন জগতের বিভিন্ন মাধ্যমে। মঞ্চ থেকে সিনেমা কিংবা সিরিয়াল সর্বত্রই অবাধ যাতায়াত ছিল এই দাপুটে অভিনেত্রীর। অভিনয় তাঁর কাছে এমনই একটা জিনিস ছিল যে তিনি মনে করতেন অভিনয় না করলে মন ভাল থাকে না। তাই শত শরীর খারাপের মধ্যেও শুটিং ফ্লোরে যাওয়া কিন্তু তার চাই।
কারণ ক্যামেরার সামনে গিয়ে দাঁড়ালেই ম্যাজিকের মতো গায়েব হয়ে যেত তার সমস্ত অসুখ। কিছুদিন আগেই বর্ষীয়ান এই অভিনেত্রীকে স্টার জলসার জনপ্রিয় ধারাবাহিক ‘গাঁটছড়া’ তে খড়ির জেঠিমার চরিত্রে দেখা গিয়েছিল। আর আজ সকালেই এই বর্ষীয়ান অভিনেত্রীর প্রয়াণের খবর পেয়ে সকলের মতই শোকাহত পর্দার খড়ি অভিনেত্রী সোলাঙ্কি রায় (Solanki Roy)।
সংবাদমাধ্যমে শোকবার্তা (Condolence) জানিয়ে অভিনেত্রী বলেছেন ‘খুবই দুঃখজনক। অনেক কথাই মনে পড়ছে তার। শারীরিক অসুস্থতা থাকায় মাঝেমধ্যে শুটিংয়ে আসতে পারতেন না। কিন্তু যখনই আসতেন জমিয়ে দিতেন। খুব পজিটিভ ভাইব ছিল তাঁর মধ্যে’। সোলাঙ্কি জানিয়েছেন তার সাথে প্রয়াত সোনালী চক্রবর্তী একবার বলেছিলেন ‘শুটিং না করলে মন ভালো থাকে না’।
শেষে অভিনেত্রীর সংযোজন ‘সত্যিই অসুস্থতার সঙ্গে লড়াই করছিলেন তিনি।ওঁর লড়াই অনুপ্রেরণা দেয়। বিদায়বেলায় এদিন সোলাঙ্কির মনে পড়ে যাচ্ছিল সোনালী চক্রবর্তী শুটিংয়ের ফাঁকে অনেক গল্প করতেন তিনি। এদিন সোনালী চক্রবর্তীর স্বামী তথা অভিনেতা শঙ্কর চক্রবর্তী (Shankar Chakraborty) সোশ্যাল মিডিয়াতে একটি ছবি শেয়ার করে শোকবার্তা দিয়েছেন।
স্ত্রীর একটি ছবি শেয়ার করে তিনি লিখেছেন, ‘‘ভরা থাক স্মৃতিসুধায়।’’ জানা যাচ্ছে দীর্ঘদিন ধরেই কিডনির সমস্যায় ভুগছিলেন অভিনেত্রী। অবশেষে কিডনি ফেলিওর হয়েই প্রয়াত হয়েছেন তিনি। জানা যায় গত শুক্রবার গুরুতর অসুস্থ হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছিলেন অভিনেত্রী। এর আগেও বাড়াবাড়ি হওয়ায় হাসপাতালে ভর্তি হয়ে ভেন্টিলেটরেও রাখা হয়েছিল তাকে। তবে এরপর সুস্থ হয়ে বাড়িও ফিরে এসে শুটিংও শুরু করেছিলেন তিনি। কিন্তু পরবর্তীকালে আবারো পেটে ফ্লুইড জমতে শুরু করে। তড়িঘড়ি আবারও হাসপাতালে ভর্তি করা হয়, তবে এবার আর বাড়ি ফেরা হল না।