জীবনে বেঁচে থাকার লড়াইয়ে আমাদের প্রত্যেককেই যুঝতে নানান কঠিন পরিস্থিতির মধ্যে দিয়ে।জীবিকা নির্বাহের উদ্দেশ্যেই জীবিকা হিসাবে বেছে নিতে হয় পছন্দ সই পেশা। শুরুতে সব কিছুই কঠিন মনে হয়, কিন্তু একমাত্র মনের জোরই আমাদের সম্বল। যার ওপর ভর করে প্রতিনিয়ত নানা অসম্ভবকে সম্ভব করে চলেছেন নারী পুরুষ নির্বিশেষে সকলে।
উল্লেখ্য এই মুহূর্তে বাংলার অন্যতম জনপ্রিয় রিয়ালিটি শো হল জি বাংলার দিদি নাম্বার ওয়ান (Didi Number One)। অভিনেত্রী রচনা বন্দোপাধ্যায়ের অনবদ্য সঞ্চালনা এই অনুষ্ঠানে এনে দিয়েছে এক আলাদা মাত্রা। জনপ্রিয় এই খেলার অংশগ্রহণ করেন সেলিব্রেটি থেকে সাধারণ মানুষ সকলে। জীবনে চরম কঠিনতম পরিস্থিতির মুখে পড়েও দাঁতে দাঁত চেপে লড়াই আর জীবনে ঘুরে দাঁড়ানোর অভিজ্ঞতা নিয়ে হাজির হন বাংলার একাধিক দিদি।
এই মঞ্চে আসা প্রতিযোগিদের বাস্তব জীবনের লড়াই করার ঘটনা অনুপ্রাণিত করে অসংখ্য দর্শকদের। একথা ইতিমধ্যেই এই শোতে এসেই স্বিকার করে নিয়েছেন এই শোয়ের অনান্য একাধিক প্রতিযোগি নিজেই। তাদের সুখ,দুঃখ, কষ্ট, সহ জীবনের না পাওয়া গুলোকে ভুলে জীবনে এগিয়ে যাওয়ার দৃঢ় মনোবলকে দিদি নাম্বার ওয়ানের মাধ্যমেই কুর্নিশ জানায় জি বাংলা।
হাসি, মজা আর প্রচুর উপহারের ডালি নিয়ে দিনে দিনে জনপ্রিয়তার শিখরে পৌঁছে যাচ্ছে এই শো। আজ তেমনই দিদি নম্বর ওয়ানের পিকনিক স্পেশাল পর্বে এসেছিলেন মুর্শিদাবাদের বাসিন্দা গামছা দিদি মীরা মন্ডল। হত দরিদ্র অবস্থাতে থাকাকালীন এই গামছা বুনেই জীবনে ঘুরে দাড়িয়েছেন এই মহিলা।
View this post on Instagram
আজ দিদি নম্বর ওয়ানের মঞ্চে এসে, এই প্রবীণ মহিলা জানিয়েছেন গামছা বোনার কাজ অত্যন্ত কঠিন জেনেও মনের জোর হারাননি তিনি। তাই শুরুর দিকে বারবার ভুল করেও হার মানেননি তিনি। মনের মধ্যে জেদ বজায় রেখেই চালিয়ে গিয়েছেন গামছা বোনার কাজ। আর আজ তার তৈরি গামছা বিক্রিই শুধু হয় না, সেইসাথে বিখ্যাত গোটা দেশে। এদিন তিনি রচনা বন্দোপাধ্যায়ের হাতেও নিজের তৈরি একটা গামছা তুলে দিয়েছেন।