রবিবারে বাঙালি বাড়িতে জম্পেশ ভালো মন্দ খাওয়া যে চলবেই তা আর বলার অপেক্ষা রাখেনা। তাই সপ্তাহের প্রথমে একটু ছিমছাম খাওয়াই ভালো। তবে ছিমছাম খাবারেও যদি আসে দুর্দান্ত স্বাদ তাহলে ক্ষতি কি? এই সময় সদ্য বাজারে উঠতে শুরু করেছে ফুলকপি। আর ফুলকপি এমন একটা সবজী, যার স্বাদ গন্ধ সবসময়ই জিভে জল আনে। শীতকালে ফুলকপির স্বাদ কমে আসে। তাই এটিই আদর্শ সময় ফুলকপি খাওয়ার আদর্শ সময়।
আর ফুলকপির (Cauliflower) তরকারিকে আরও টেস্টি বানাবে চিংড়ি (prawn)। বাঙালি আর চিংড়ি যেন সমার্থক। ভোজন রসিকদের কাছে চিংড়ির কদর চিরকালের। চিংড়ির মালাইকারি, চিংড়ি ভাপা, ডাব চিংড়ি, এঁচোড় চিংড়ি তো অনেক খেলেন, এবার চেখে দেখুন চিংড়ি ফুলকপির ঝাল। একদম নতুন স্বাদের এমন নানান রান্না শিখতে, চোখ রাখুন বংট্রেন্ডের পর্দায়।
চিংড়ি ফুলকপির ঝাল বানাতে লাগবে-
২০০ গ্রান কুচো চিংড়ি মাছ
১টা ছোট ফুলকপি
ডুমো ডুমো করে কেটে নেওয়া আলু
আদা বাটা
জিরে গুঁড়ো
ধনে গুঁড়ো
টমাটো
কাঁচালঙ্কা চেরা
গরম মসলা বাটা
গোটা জিরে
কাশ্মীর লঙ্কার গুঁড়ো
স্বাদ মতো নুন
হলুদ
চিনি
সর্ষের তেল
পদ্ধতি-
- চিংড়ি মাছ খোসা ছাড়িয়ে, ভালো করে ধুয়ে নুন হলুদ মাখিয়ে হালকা ভেজে তুলে রাখতে হবে।
- ফুলকপি কেটে হলুদ জলে ভাপিয়ে জল ঝরিয়ে ছাকা তেলে ভেজে তুলে রাখতে হবে। ওই তেলেই আলু টুকরো গুলিও ভেজে নিন।
- এবার কড়াইতে পরিমাণ মতো তেল দিয়ে গোটা জিরে, তেজপাতা ফোরণ দিয়ে আদা বাটা জিরে গুঁড়ো, ধনে গুঁড়ো, নুন, হলুদ,চিনি, কাঁচা লঙ্কা চেরা দিয়ে কষতে হবে।।
- কিছুক্ষন কষানো পর টমেটো কুচি দিয়ে নাড়তে হবে,মশলা কষে এলে কাশ্মীরি লঙ্কার গুঁড়ো দিয়ে আলু ও ভেজে রাখা চিংড়ি দিতে হবে। আলু দিয়ে কিছুক্ষণ কষানোর পর গরম মসলা বাটা দিয়ে নেড়ে জল দিতে হবে।
- এবার গ্যাস কমিয়ে পুরো বিষয়টাকে রান্না হতে দিন। আলু ফুলকপি সেদ্ধ হয়ে এলেই নুন মিষ্টি দেখে নামিয়ে নিন।বেশি ঝোল রাখবেন না। এরপর গরম ভাতের সঙ্গে পরিবেশন করুন চিংড়ি ফুলকপির ঝাল।