কথায় আছে, বোনের (Sister) চেয়ে ভালো বন্ধু খুঁজে পাওয়া ভীষণ মুশকিল। আনন্দে হোক বা দুঃখে, সব সময় এক বোন আরেক বোনের পাশে থাকে। কিন্তু বাংলা সিরিয়ালের (Bengali Serial) দুনিয়ায় এমন বহু বোন রয়েছে যারা শত্রুরও অধম। নিজের বোনের সংসার ভাঙতে কোনও ত্রুটি রাখেনি তারা। জামাইবাবুর দিকে কুনজর দিয়ে দর্শকদের গালমন্দ শোনা এমনই ৫ বোনের তালিকা আজ তুলে ধরলাম আমরা।
ময়ূরী (Mayuri)- ‘ইচ্ছে পুতুল’ (Icche Putul) ধারাবাহিকের ময়ূরী দর্শকদের দু’চোখের বিষ। বোন মেঘের স্বামী নীলকে আপন করতে একের পর এক ষড়যন্ত্র করে যাচ্ছে সে। নিজের সংসার পাতার জন্য মেঘের সংসার ভেঙে গুঁড়িয়ে দিতেও দ্বিধাবোধ করেনি ময়ূরী। অথচ সেই মেঘই কিন্তু নিজের রক্ত দিয়ে তার প্রাণ বাঁচিয়ে রেখেছে।
তিতির (Titir)- স্টার জলসার পর্দায় সম্প্রচারিত অত্যন্ত আইকনিক একটি ধারাবাহিক ছিল ‘ইচ্ছে নদী’ (Icche Nodi)। মুখ্য চরিত্রে অভিনয় করেছিলেন বিক্রম চট্টোপাধ্যায়, শোলাঙ্কি রায় এবং শ্রীতমা ভট্টাচার্য। এই ধারাবাহিকে মেঘলা (শোলাঙ্কি) এবং তিতির (শ্রীতমা) ছিল দুই বোন। তবে অনুরাগ (বিক্রম) ভালোবেসে মেঘলাকে বিয়ে করে। এরপর বোনের সংসার ভাঙার জন্য কম ষড়যন্ত্র করেনি তিতির। যদিও শেষ পর্যন্ত অনুরাগ-মেঘলাকে আলাদা করতে পারেনি সে।
চড়ুই (Chorui)- ‘ধুলোকণা’ (Dhulokona) ধারাবাহিকের চড়ুইয়ের নামও রয়েছে এই তালিকায়। খুড়তুতো বোন ফুলঝুরি এবং লালনের প্রেম ভাঙতে সে কম ষড়যন্ত্র করেনি। এমনকি ফুলঝুরিকে সরিয়ে লালনকে বিয়ে অবধি করে নিয়েছিল সে। যদিও সে লালনের সঙ্গে বেশিদিন সংসার করতে পারেনি। শেষ অবধি জয় হয়েছিল ফুলঝুরির ভালোবাসার।
রঞ্জা (Ranja)- পিলু এবং রঞ্জাকে দর্শকদের এখনও নিশ্চয়ই মনে আছে? একজন আহিরের স্ত্রী এবং দ্বিতীয়জন ছিল আহিরকে পছন্দ করতো। ঘটনাচক্রে পিলু (Pilu) এবং রঞ্জা সৎ বোনও ছিল। জি বাংলার এই ধারাবাহিকটি যারা দেখতেন তাঁরা জানেন, আহির যখন পিলুকে বিয়ে করে এনেছিল, তখন দু’জনকে আলাদা করার জন্য কম চক্রান্ত করেনি রঞ্জা। যদিও পরে সে অবশ্য ভালো হয়ে গিয়েছিল।
দ্যুতি (Dyuti)- ‘গাঁটছড়া’ (Gaatchora) ধারাবাহিকটি যারা নিয়মিত দেখেন তাঁরা জানেন, সিরিয়ালের নায়ক ঋদ্ধিমানের সঙ্গে প্রথমে দ্যুতির বিয়ে ঠিক হয়েছিল। কিন্তু সে রাহুলের জন্য বিয়ের মণ্ডপ থেকে পালিয়ে যায়। সেই কারণে খড়ির সঙ্গে সাত পাকে বাঁধা পড়ে ঋদ্ধিমান।
বোনের বিয়ের পর দ্যুতি ঋদ্ধিমানকে কখনও নিজের স্বামী বানাতে চায়নি একথা ঠিক। তবে ঋদ্ধি-খড়ির সংসার ভাঙার কম চেষ্টা করেনি সে। যদিও এখন অবশ্য দ্যুতি সম্পূর্ণ ভালো হয়ে গিয়েছে।