বাঙালিদের পাতে আলু ভাজা হল নিত্য সঙ্গী৷ কিছু না থাক আলু ভাজা হলেই এক থালা ভাত সাবাড় হয়ে যায়। কিন্তু ফরাসীরা আবার আলুকে ওমন তেলতেলে, নরম, মিয়ানো মোটেই পছন্দ করতেন না৷ ফ্রান্সে আলু খুব জনপ্রিয় ছিল। ১৭৮৫ সালের পর সেখানে আলুর দুর্ভিক্ষ দেখা দেওয়ায়, সকলের কপালে হাত পড়ে গিয়েছিল। এর ১০ বছর পর দুর্ভিক্ষ কাটলে ফ্রান্সে প্রচুর পরিমাণে আলুর চাষ শুরু হয়।
১৮০১ সালে ফরাসি রাঁধুনি থমাস জেফারসন আলু সরু সরু করে কেটে একটি বিশেষ পদ রান্না করেছিলেন। আলু কেটে প্রথমে তা লবণে ডুবিয়ে রেখেছিলেন। তারপর তা ডুবো তেলে ভেজেছিলেন, মনে করা হয় এখান থেকেই এসেছে ফ্রেঞ্চফ্রাই। ব্যাপারটা আলু ভাজা হলেও, এটা খেতে এক্কেবারে অন্যরকম। তাই বানানোর কায়দাও আলাদা। চলুন শিখে নেওয়া যাক, ফ্রেঞ্চ ফ্রাইয়ের রেসিপি। মাত্র ২০ মিনিটেই দোকানের মত ফ্রেঞ্চ ফ্রাই বানানো সম্ভব।
উপকরণ –
বড় আলু
তেল
লঙ্কার গুড়ো
লবণ
পদ্ধতি-
আলু গুলি খোসা ছাড়িয়ে সরু সরু লম্বা লম্বা করে ফ্রেঞ্চ ফ্রাইয়ের আকারে কেটে নিন৷ এবার ঠান্ডা জলে ধুয়ে ১০ মিনিট ফ্রীজে রেখে দিন।
এরপর একটি পাত্রে এক চামচ লবণ দিয়ে আলু গুলিকে হাফ সেদ্ধ করে, আলু গুলি উঠিয়ে কিচেন টাওয়ালের উপর রেখে দিন। এবং আলু থেকে সমস্ত জল মুছে নিন। দেখবেন আলু যেন এক্কেবারে শুকনো থাকে।
এক্ষেত্রে দু ধাপে আলু ভাজতে হয়। এবারে কড়াইতে তেল গরম করে তাতে আলুর টুকরো গুলি দিয়ে উচ্চ আঁচে ভেজে নিন। সব আলু একসাথে দেবেন না। এরপর তেল থেকে তুলে কিচেন টাওয়ালের উপর ছড়িয়ে দিন। ১০ মিনিট সময় নিয়ে ঠাণ্ডা করুন। আধা ঘণ্টা ফ্রিজে রেখে দিন।
এরপর ফ্রীজ থেকে বের করে ওই ঠান্ডা আলু গুলিই আবার ডুবো তেলে মিনিট আটেক ভাজলেই এক্কেবারে রেডি ফ্রেঞ্চ ফ্রাই। উপরে লবণ ছড়িয়ে, সসের সাথে পরিবেশন করুন।