১৮ বছরের কম বয়সী একটি মুসলিম মেয়ের বয়ঃসন্ধি বা রজস্বঃলা হয়ে গেলে তার সম্পূর্ণ স্বাধীনতা রয়েছে স্বেচ্ছায় কাউকে বিয়ে করার, বুধবার এমনই রায় শোনালো পাঞ্জাব এবং হরিয়ানা হাইকোর্ট৷ উচ্চ আদালত মুসলিম বিবাহ ও বিভিন্ন আদালতের বিচারের ভিত্তিতেই এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে বলে জানা যাচ্ছে।
স্যার দীনশাহ ফারদুনজি মোল্লার ‘প্রিন্সিপালস অফ মোহামেডান ল’ বইয়ের ১৯৫ অনুচ্ছেদের কথা উল্লেখ করে হাইকোর্ট পর্যবেক্ষণ করেছেন যে বয়ঃসন্ধিকালের প্রাপ্ত বয়স্ক একজন মুসলিম মেয়ে রজঃস্বলা হলেই তার পছন্দের ব্যক্তির সাথে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হওয়ার যোগ্যতা রাখে। ওই বইয়ে বয়ঃসন্ধির বয়স হিসেবে ধরা হয়েছে ১৫ বছরকে।
মোল্লার বইয়ের ১৯৫ অনুচ্ছেদে সংজ্ঞায়িত করা হয়েছে, “বয়ঃসন্ধিকালীন প্রতিটি মুসলিম নারী বিবাহের যোগ্য। অপ্রকৃতিস্থ এবং নাবালিকা যারা রজঃস্বলা নয় তাদের ক্ষেত্রে নিজ নিজ অভিভাবকরা বিয়ে দিতে পারেন। রজঃস্বলা হওয়া সুস্থ মস্তিকের মেয়েরা নিজের বিয়ের সিদ্ধান্ত নিজেরাই নিতে পারবে।
পাঞ্জাবের এক মুসলিম দম্পতির দায়ের করা আবেদনের শুনানি চলাকালীন বিচারপতি আলকা সারিন এই আদেশ দেন।হাইকোর্টে পঞ্জাবের এক মুসলিম দম্পতির আবেদনের ভিত্তিতে এই রায় দিয়েছেন বলে জানান বিচারপতি।
আবেদনের শুনানি করে বিচারক রায় দিয়েছেন যে একজন মুসলিম মেয়ে মুসলমানদের ব্যক্তিগত আইন দ্বারা পরিচালিত হয়। কেবল এই কারণে যে এই দম্পতি তাদের পরিবারের সদস্যদের ইচ্ছার বিরুদ্ধে বিয়ে করেছেন তাই তাদের মৌলিক অধিকার থেকে বঞ্চিত করা যায় না।