প্রিয়াঙ্কা চোপড়া (Priyanka Chopra) এমন একজন ব্যক্তিত্ব যিনি নিজের দমে শুধুমাত্র ভারতেই নয়, সারা বিশ্বে নিজের পরিচিতি তৈরি করেছেন। এখন ‘দেশি গার্ল’ একজন গ্লোবাল আইকন। ২০০০ সালে বিশ্ব সুন্দরী (Miss World) খেতাব জেতা থেকে প্রিয়াঙ্কার কেরিয়ার শুরু হয়েছিল, এরপর থেকে আর পিছন ফিরে তাকাতে হয়নি তাঁকে।
তবে এবার ২০০০ সালের সেই মিস ওয়ার্ল্ড প্রতিযোগিতার স্বচ্ছতা নিয়েই উঠল একটি বড় প্রশ্ন। সংশ্লিষ্ট ইভেন্টের ২২ বছর পর অভিযোগ এনেছেন প্রাক্তন মিস বার্বাডোস লেইলানি (Leilani)। দাবি করেছেন, সেই বছর নাকি ‘পরিকল্পনা’ করে প্রিয়াঙ্কাকে বিজয়ী ঘোষণা করা হয়েছিল। এক চোখামি করা হয়েছিল ‘দেশি গার্ল’এর সঙ্গে।
২০০০ সালে ‘মিস ওয়ার্ল্ড’ প্রতিযোগিতায় প্রিয়াঙ্কার মতোই নিজের দেশের প্রতিনিধিত্ব করছিলেন লেইলানিও। তবে তিনি খেতাব জিততে পারেননি। এখন তিনি ইউটিউবার হিসেবে কাজ করেন। ইউটিউবেই সম্প্রতি এক ভিডিওয় তিনি বিশ্বসুন্দরী প্রতিযোগিতার স্বচ্ছতা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন। সদ্য হওয়া ইউএসএ ২০২২ প্রতিযোগিতা নিয়ে হওয়া বিতর্ক সম্বন্ধে বলতে গিয়ে তিনি ২০০০ সালের মিস ওয়ার্ল্ড প্রতিযোগিতার উদাহরণ দেন।
লেইলানি নিজের ভিডিওয় বলেছেন, প্রিয়াঙ্কা তথা ভারতকে সেই বছর জেতানোর জন্য প্রতিযোগিতায় অনেক কারচুপি করা হয়েছিল। কারণ সেই সময় শোয়ের স্পনসর ছিল ভারতীয় চ্যানেল জি টিভি। প্রাক্তন মিস বার্বাডোসের দাবি, প্রতিযোগিতার আয়োজকরা নাকি প্রিয়াঙ্কার অনেক বেশি খেয়াল রাখতেন, যত্ন করতেন। তাঁর ঘরে খাবার পৌঁছে দেওয়া থেকে শুরু করে সংবাদপত্রের জন্য আলাদা করে ফটোশ্যুট করা- ‘দেশি গার্ল’ নাকি অনেক ‘সুবিধা’ই ভোগ করেছেন।
এখানেই থামেননি তিনি, লেইলানি এও বলেন যে প্রিয়াঙ্কাকে সামনে থেকে দেখার পরই তিনি এটা বুঝে গিয়েছিলেন যে সে আদতে কুৎসিত। গায়ের রঙ ঠিক করার জন্য তিনি নাকি বিশেষ ধরণের ক্রিমও ব্যবহার করতেন। তবে সেটি নাকি ঠিক করে কাজ করেনি। তাই সুইমস্যুট প্রতিযোগিতার সময় নিজের ‘সারং’ সরাতে চাইছিলেন না ভারতীয় অভিনেত্রী। তা সত্ত্বেও নাকি তাঁকে একটা কথাও বলা হয়নি।
লেইনানি এই ভিডিও শেয়ার করা মাত্রই একেবারে তোলপাড় হয়ে গিয়েছে সোশ্যাল মিডিয়া। প্রাক্তন মিস বার্বাডোসের বক্তব্যও স্বাভাবিকভাবেই ভারতীয়দের একেবারেই ভালোলাগেনি। অনেকে এও বলেছেন, বিশ্ব সুন্দরীর খেতাব জেতার পর প্রিয়াঙ্কা নিজের কেরিয়ারে অনেক দূর এগিয়ে গিয়েছেন। অথচ লেইলানি ইউটিউবার হিসেবেই কাজ করছেন। এর থেকেই বোঝা যায় কে বেশি যোগ্য এবং কার প্রতিভা বেশি।