বাঙালিরা এমনিতেই একটু ভ্রমণপিপাসু হন। দু-একদিনের ছুটি পেলেই মনটা ঘুরু ঘুরু (Travel) করতে থাকে। কিন্তু আবার দু’দিনের ছুটিতে খুব বেশিদুর যাওয়াও সম্ভব হয় না। আজকের প্রতিবেদনে কলকাতার (Kolkata) কাছাকাছি এমন একটি অপূর্ব জায়গার হদিশ দেওয়া হল যেটি সপ্তাহান্তের ছুটির জন্য একেবারে পারফেক্ট। ‘মিনি তিব্বত’ (Mini Tibet) নামে পরিচিত সেই জায়গা অবস্থিত ছত্তিশগড়ে (Chattisgarh)।
ছত্তিশগড় এমন একটি জায়গা যেখানে প্রচুর দেখার মতোও জায়গা রয়েছে। সুন্দর সুন্দর পর্যটন স্থানের কোনও অভাব নেই এখানে। আজকের প্রতিবেদনে ছত্তিশগড়ের মাইনপাট (Mainpat) নামের একটি শৈলশহর নিয়ে আলোচনা করা হল। জায়গাটি অবশ্য বেশি পরিচিত ‘মিনি তিব্বত’ নামে। দু-একদিনের ছুটি কাটানোর জন্য এক্কেবারে পারফেক্ট এই জায়গায় দেখার মতো কী কী জিনিস রয়েছে, কীভাবে যাবেন সবকিছু বলা হল এই প্রতিবেদনে।
ছত্তিশগড়ের রাজধানী বিলাশপুর থেকে এই শৈলশহর মাত্র ২৫০ কিলোমিটার দূরে অবস্থিত। সবুজে ঘেরা এই অপূর্ব জায়গাটি কোনও সিনারির চেয়ে কম নয়। কলকাতার প্যাচপ্যাচে গরম থেকে বাঁচতে আপনি চাইলে গ্রীষ্মকালে মাইনপাটে চলে যেতেই পারেন। পাহাড়-জঙ্গলে ঘেরা এই সুন্দর জায়গায় গরম একেবারেই অনুভূত হয় না।
সারা বছরই বেশ মনোরম আবহাওয়া থাকে ছত্তিশগড়ের এই শৈলশহরে। এই সময় গেলে যেমন হালকা ঠাণ্ডার আমেজ পাবেন, তেমনই আবার শীতকালে গেলে তুষারপাতও দেখতে পাবেন। সমুদ্রপৃষ্ঠ থেকে প্রায় ৩৫০০ ফুট ওপরে বিন্ধ্য পর্বতের কোলে অবস্থিত এই জায়গাটিকে ‘মিনি তিব্বত’ কেন বলা হয় জানেন?
১৯৬২ সাল নাগাদ বহু তিব্বতি উদ্বাস্তু এই মাইনপাটে বসতি স্থাপন করেছিলেন। এখানে বৌদ্ধমঠও রয়েছে। মাইনপাটের অন্যতম আকর্ষণ হল ভগবান বুদ্ধের এই মঠ। সেখান থেকে এই স্থানটির নাম হয়ে গিয়েছে ‘মিনি তিব্বত’। এছাড়াও এখানে গেলে আপনি দেখতে পাবেন সুন্দর ঝরনা। দর্শনীয় স্থানের মধ্যে রয়েছে ‘টাইগার পয়েন্ট’। শোনা যায়, এখানে নাকি একসময় বাঘেরা জল খেতে আসত। আপনি যদি শহরের কোলাহল থেকে দূরে কয়েকটা দিন একটু নিরিবিলিতে প্রকৃতির কোলে কাটাতে চান তাহলে মাইনপাট আপনার জন্য একেবারে আদর্শ।
কীভাবে যাবেন? চলুন জেনে নেওয়া যাক কলকাতার কাছের মিনি তিব্বতে পৌঁছানোর উপায়ঃ সুরগুজা/অম্বিকাপুর থেকে মাত্র ৫০ কিমি দূরে মাইনপাট। আপনি যদি গাড়ি ভাড়া করে যান তাহলে ময়নাপাট অম্বিকাপুর-সীতাপুর হয়ে মাইনপাট যেতে পারেন।
আর সেই পথে না যেতে চাইলে অবশ্য দারিমা গ্রাম হয়েও যেতে পারেন। সেখানে গেলে চোখে পড়বে পাহাড়ের অপূর্ব সৌন্দর্য। শহরের কংক্রিটে ঘেরা জীবন থেকে বেরিয়ে এই মনোরম দৃশ্য আপনার মন কাড়তে বাধ্য।