সোশ্যাল মিডিয়ার দৌলতে হাজারো ভিডিও আমরা প্রতিদিন দেখতে পাই। যার মধ্যে এমন কিছু ভিডিও থাকে যেগুলো মন ছুঁয়ে যায়। অবাক করে দেওয়া সমস্ত কান্ড কারখানা থেকে শুরু করে মন ভালো করে দেবার মত এই ভিডিওগুলি নিমেষের মধ্যেই ভাইরাল (Viral Video) হয়ে পরে। এই যেমন সম্প্রতি এক কৃতজ্ঞ ছোট্ট হাতির (Little Elephant) ভিডিও বেশ ভাইরাল হয়ে পড়েছে সোশ্যাল মিডিয়াতে।
অনেকেই ভাবেন পশুরা বোধয় কিছুই বোঝে না মানুষের মত বোধ বুদ্ধ বা কৃতজ্ঞতা কিছু নেই তাদের। কিন্তু সেটা একেবারেই ভুল। বাড়ির পোষ্য প্রাণী থেকে শুরু করে গভীর জঙ্গলের প্রাণীদেরও কৃতজ্ঞতা বোধ রয়েছে। এটা অতীতে বহু ঘটনায় প্রমাণিত হয়েছে। এমন অনেক ঘটনা রয়েছে যেখানে বন্যা প্রাণীদের উদ্ধার করার পর তারা কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেছেন নানাভাবে। সম্প্রতি এমনই আরেকটি ভিডিও বেশ ভাইরাল হয়ে পড়েছে সোশ্যাল মিডিয়াতে।
ভিডিওতে দেখা যাচ্ছে কিছু বনদফতরের কর্মী জঙ্গলের রাস্তা দিয়ে হেটে যাচ্ছেন। আর তাদের সাথে সাথেই ছোট্ট ছোট্ট পায়ে হেজে যাচ্ছে একটি বাচ্চা হাতি। যে নিজের মায়ের থেকে আলাদা হয়ে পড়েছিল। দলছুট হয়ে একা হয়ে পড়েছিল হাতিটি। তবে বনদফতরের কর্মীদের দেখে আবার কিছুটা মনে বল পেয়েছে সে। তাই তাদের পিছু নিয়েছে। ইতিমধ্যেই হাতিটিকে মায়ের সাথে একত্রিত করার চেষ্টা চলছে।
Love has no language. A baby elephant hugging a forest officer. The team rescued this calf & reunited with mother. pic.twitter.com/BM66tGrhFA
— Parveen Kaswan, IFS (@ParveenKaswan) October 14, 2021
যেহেতু বাচ্চাহাতিটিকে একাকী থাকার থেকে রক্ষা করেছে বনদফতরের কর্মীরা, তাই সে কৃতজ্ঞতা জানাতে ভোলেনি। বনদফতরের এক কর্মীর পা শুঁড় দিয়ে জড়িয়ে ধরেছে হাতিটি। যেটা সত্যিই একটা মন ছুঁয়ে যাবার মত মুহূর্ত। ইন্ডিয়ান ফরেস্ট সার্ভিসের এক কর্মী পারভীন কাসওয়ান সেই ছবি শেয়ার করেছেন সোশ্যাল মিডিয়াতে। যা নিমেষের মধ্যেই ভাইরাল হয়ে পড়েছে।
ছবিটি শেয়ার করে পারভীন লিখেছেন, ‘ভালোবাসার কোনো ভাষাই হয় না। একটা বাচ্চা হাতি জড়িয়ে ধরেছে বনদফতরের কর্মীকে। যে টিমটি তাকে উদ্ধার করে মায়ের কাছে ফিরিয়ে দিয়েছে। আসলে জঙ্গলে হাতির পালের থেকে মাঝে মাঝে এভাবে বাচ্চারা হারিয়ে যায়। কিন্তু মুশকিল হল বেশিদিন মানুষের সাথে থাকলে তাদের গায়ে মানুষের গন্ধ চলে আসে। তখন হাতির দল আর মেনে নেবে না তাদের সন্তানকে। তাই দ্রুত ব্যবস্থা নিতে হয়। সেটাই করেছেন বনদফতরের কর্মীরা।