নব্বইয়ের দশকে ‘অ্যাঙ্গরি ইয়ং ম্যান’-এর চরিত্রেই অধিকাংশ সময়ে অভিনয় করতেন সানি দেওল (Sunny deol) এবং তাঁর জ্বালাময়ী সংলাপও প্রবলভাবে তাঁর চরিত্রগুলিকে ফুটিয়ে তুলত। রুপোলি পর্দার মত ব্যক্তিগত জীবনেও যে সানি দেওল একইরকমের রগচটা, সে বিষয়ে নানাসময়েই শোনা গেছে কানাঘুষো। বলিপাড়ার বক্তব্য, একদিন শাহরুখ খানের কারণে চটে গিয়ে নাকি নিজের প্যান্টও ছিঁড়ে ফেলেছিলেন সানি দেওল!
বলিউডে অভিনেতাদের ঘনিষ্ঠমহল জানাচ্ছে, ১৯৯৩ সাল নাগাদ ‘ডর’ সিনেমার শ্যুটিংয়ে একইসাথে কাজ করেছেন সানি দেওল, শাহরুখ খান ও জুহি চাওলা। সিনেমার পরিচালক ইয়াশ চোপড়া সানি দেওলকে নিজ চরিত্র বেছে নেওয়ার অনুমতিও দেন। সিনেমায় ‘রাহুল মেহরা’ ও ‘সুনীল মালহোত্রা’ – চরিত্রদুটির মধ্যে সানি দেওল ‘সুনীল’-র ভূমিকায় অভিনয় করতে রাজি হন। কিন্তু শ্যুটিং যত এগোয়, সানি বুঝতে পারেন যে খলনায়ক হলেও ছবির প্রধান নায়ক আসলে শাহরুখ খান অভিনীত ‘রাহুল’ চরিত্রটি!
সংবাদমাধ্যমে একটি সাক্ষাৎকারে সানি দেওল জানিয়েছিলেন, “ডর সিনেমায় খলনায়কের ভূমিকাই যে প্রধান, সে বিষয়টি আমার থেকে ইয়াশ চোপড়া ও শাহরুখ খান সম্পূর্ণ লুকিয়ে গিয়েছিল। সেইসময়ে সবাই সব জানলেও আমিই একমাত্র অন্ধকারে ছিলাম!” সানি আরও জানান, “একদিন আমি ও শাহরুখ একই সেটে বসে আমাদের চরিত্রের ব্যাপারে পুঙ্খানুপুঙ্খভাবে শুনছিলাম। তখনই আমার ধৈর্য্যচ্যুতি ঘটে ও আমি আমার জিন্সের পকেটে হাত ঢুকিয়ে পকেটের কাপড় ছিঁড়ে ফেলি।” স্বভাবতই সানির এই স্বীকারোক্তিতে কষ্ট পেয়েছেন তাঁর ফ্যানবেস।
সাক্ষাৎকারে সানির যথেষ্ট ক্ষোভ প্রকাশ করেন এ ঘটনা নিয়ে। তিনি জোর গলায় জানান যে, শাহরুখ খানের চরিত্র যে তাঁর চরিত্রকে সারা সিনেমাজুড়েই দমিয়ে রাখবে, এ বিষয়ে প্রথমে কেউই জানায়নি তাঁকে। ফলে এই ঘটনার পরেই ইয়াশ চোপড়া ও শাহরুখ খানের সঙ্গে আর কোনো কাজ করা বন্ধ করে দেন সানি।
‘ডর’-এর ঘটনার পর থেকে শাহরুখ খানের সাথে পর্দা ভাগ করে নেওয়া তো দূর, আর কোনো যোগাযোগই রাখেননি তিনি। প্রায় দীর্ঘ ১৬ বছর কিং খানের সাথে মুখ দেখাদেখিও বন্ধ দেওল পরিবারের বড় ছেলের! সানি দেওল যে রুপোলি পর্দার মত বাস্তবজীবনেও সমান রাগী, তা স্পষ্ট এই ঘটনা থেকেই। যদিও সানির ফ্যানেরা এই ঘটনার জন্য শাহরুখ খানকেই দায়ী করে থাকেন।