যতদিন যাচ্ছে ততই যেন আরো প্রখর হচ্ছে সূর্যের রোদ। একটু বেলা বাড়তেই বাড়ছে তাপমাত্রা। ধীরে ধীরে সহ্যের মাত্রা ছাড়িয়ে চলে যাচ্ছে উষ্ণতা। দুপুরের দিকে বাইরে ছাতা ছাড়া বেড়ালে গায়ে ফোসকা পড়ার জোগাড় হচ্ছে রীতিমত। সাথে রয়েছে গরম হওয়ার প্রবাহ যাকে বলে লু। এই গরমে নিজেকে তীব্র গরম থেকে বাঁচাতে জ্বলতো অবশ্যই খেতে হবে। তবে এমন কিছু খাবার রয়েছে ঠান্ডা রাখতে সাহায্যে করে।
আপনি হয়তো ভাবছেন, ঠান্ডা শরবত বা পানীয় থেকে শুরু করে আইসক্রিমের কথা। মোটেই না একেবারে প্রাকৃতিক খাবার রয়েছে যেগুলি শরীরকে ভেতর থেকে ঠান্ডা রেখে গরমে সতেজ ও স্বাস্থ্যবান রাখতে সাহায্য করে। আজকে এই ধরণেরই কিছু খাবারের সন্মন্ধে জেনে নেব।
পাতিলেবুর শরবত
বাজারে একেবারেই সস্তায় কিনতে পাওয়া যায় পাতিলেবু। বাড়িতে রান্নার জন্যও ব্যবহার হয় এই পাতিলেবু। এই পাতিলেবু দিয়েই শরবত তৈরী করে খেলে সেটা অনেকটা উপকারী শরীরের জন্য। কারণ পাতিলেবুতে ভিটামিন সি, ভিটামিন বি ৬ ছাড়াও পটাশিয়াম, ম্যাগনেশিয়াম থাকে। আর খুব সহজেই পাতিলেবু চিপে রস বের করে জলের সাথে সামান্য নুন মিশিয়ে শরবত তৈরী করে খাওয়া যায়।
তরমুজ
প্রতিটা মরসুমেই কিছু বিশেষ ফল পাওয়া যায়। তেমনি গ্রীষ্মকালের ফল হল তরমুজ। তরমুজের ৯০ শতাংশের বেশি জল থাকে যেটা গরমে শরীরের আদ্রতা বজায় রাখতে সাহায্য করে। এছাড়াও তরমুজে কিছু প্রয়োজনীয় অ্যামিনো অ্যাসিড যেমন অর্জিনিন, স্টিরুলাইন থাকে যেটা শরীরের ব্লাড সুগার নিয়ন্ত্র ও হার্টকে ভালো রাখতে সাহায্য করে।
ডাবের জল
গরমের মধ্যে তৃষ্ণা মেটানো তথা শরীরের আদ্রতা ফেরানোর একটা দারুন উপায় হল ডাবের জল। রাস্তাঘাটে মাঝে মধ্যেই গরমে ভ্যানে বা সাইকেলে করে ডাব বিক্রি করতে দেখা যায়। আর দামও হয় সাধ্যের মধ্যে। তাছাড়া ডাবের জলের মধ্যেও ভিটামিন সি,পটাসিয়াম ও কার্বোহাইড্রেড থাকে ভরপুর। তাই গরমে তেষ্টা মেটানো ও শরীর সতেজ রাখতে ডাবের জল দারুন অপশন।
লাস্যি
গরমের একটি জনপ্রিয় পানীয় হল লাস্যি। দুধ থেকে শুরু করে দই দিয়ে নানাভাবে লস্যি বিক্রি হয়ে থাকে চারিদিকে। আর নান স্বাদের লস্যিও পাওয়া যায় প্রায় সর্বত্রই। এমনকি চাইলে বাড়িতেও খুব সহজেই তৈরী করে নেওয়া যায় লস্যি। এটি দেহ ঠান্ডা করার পাশাপাশি শরীরের আদ্রতা বজায় রাখতেও সাহায্য করে।
আম
গরমকাল মানেই হল আমের সময়। গ্রীষ্মের শুরুতে আমি গাছে মুকুল যায়, আর গরমকালে চারিদিকেই নানা ধরণের আম পাওয়া যায়। বলতে গেলে আম হল গরমের ফলের রাজা। আমের মধ্যেও ৮০ ভাগের বেশি জল রয়েছে। তাছাড়া খেতেও দারুন, ওয়াকা আম থেকে শুরু করে আমপাড়া শরবত যেমন তেষ্টা মেটায় তেমনি শরীরের জলের ঘাটতি পূরণ করে।