সুশান্ত মৃত্যু তদন্তে বহুদিন জেলে থাকার পর জামিন পেয়েছেন সুশান্তের বান্ধবী রিয়া চক্রবর্তী। রিয়া চক্রবর্তী আবার সুশান্তের দুই দিদি প্রিয়াঙ্কা সিং ও মিতু সিংয়ের বিরুদ্ধে এফআইআর করেছে বোম্বে হাইকোর্টে। এবার বড়সড় ধাক্কা খেল রিয়া চক্রবর্তী। কারণ বোম্বে হাইকোর্টে দায়ের করা সুশান্তের দুই দিদির বিরুদ্ধে এফআইআর যে জলঘোলা করার চেষ্টা মাত্র ও কোনোমতেই আইনানুগ নয় তা সাফ জানিয়ে দিল তদন্তকারী সংস্থা সিবিআই।
রিয়ার করা এফআইআরে সুশান্তের দুই দিদি প্রিয়াঙ্কা ও মিতুর বিরুদ্ধে ও এক চিকিৎসক তরুণ কুমারের বিরুদ্ধে আত্মহত্যায় প্ররোচনা দেবার অভিযোগ করা হয়েছে। এপ্রসঙ্গে তদন্তকারী সংস্থা সিবিআই এর স্পষ্ট বক্তব্য, রিয়ার দ্বারা করা এই অভিযোগ নিছক কল্পনাপ্রসূত এবং অনুমানের ভিত্তিতে করা হয়েছে। যে বিষয় গুলি অভিযোগে উল্লেখ করা হয়েছে তা ইতিমধ্যে চলা তদন্তের মধ্যে শামিল! তার জন্য আলাদা করে এফআইআর করা অহেতুক।
এছাড়াও তদন্তকারী সংস্থার আরো বক্তব্য যদি সুশান্তের মৃত্যুর কোনো তথ্য দিতেই হয় তাহলে তা সোজাসুজি সিবিআই কে দিতে পারে রিয়া চক্রবর্তী বা মুম্বাই পুলিশ। এর জন্য কোর্টে এফআইআর করার তো কোনো প্রয়োজন ছিল না। প্রসঙ্গত, সুশান্ত মৃত্যু তদন্তে বর্তমানে দেশের তিনটি বড় তদন্তকারী সংস্থা কাজ করছে, চলছে তিনটি আলাদা আলাদা মামলার তদন্ত। এসপ্তাহেই রিয়া চক্রবর্তী সুশান্তের দিদিদের এফআইআর বাতিলের পিটিশনের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ জানিয়ে বোম্বে হাই কোর্টে এফিডেভিট জিম দিয়েছেন। রিয়ার মতে সুশান্তকে যে ওষুধ খাওয়ানো হাত তার জন্য ভুয়া প্রেসক্রিপশন জোগাড় করেছিল তার দুই দিদি। প্রেস্ক্রিপশনটি ছিল ডাক্তার তুরুন কুমারের।
গত ৮ই সেপ্টেম্বর গ্রেফতার হবার কিছু সময় আগেই রিয়া বান্দ্রা থানায় সুশান্তের দুই দিদির বিরুদ্ধে এফআইআর করেছিলেন। সাথে দিয়েছিলেন ৮ই জুনের হোয়াটস্যাপ চ্যাটের মাধ্যমে সুশান্তকে পাঠানো প্রেসক্রিপশন। যেখানে নেক্সিটো। লিব্রিয়াম, ও লোনাজেপের মত ওষুধ খাওয়ার নির্দেশ ছিল। উল্লিখিত প্রতিটি ওষুধই সাইকোট্রপিক ড্রাগ সমন্বিত ওষুধ যা এনডিপিএস আইন, ১৯৮৫ এর আওতায় পরে। কিন্তু সুশান্তের দিদিদের বক্তব্য ছিল তার প্রেসক্রিপশন দিয়েছিলেন একটি ডাক্তারের। আর প্রথমবার কনসালটেশনে ওষুধ দেওয়া যেতেই পারে। সুতরাং তাদের বিরুদ্ধে কোনো মামলা দায়েরকরা যেতে পারে না।














