রাজ্য সরকারের থেকে শুটিং শুরুর অনুমতি মিলেছে ছিল আগেই। গত ১৬ ই জুন থেকেই পুরোদমে শুরু হওয়ার কথা ছিল টলিপাড়ার শুটিং। কিন্তু টেকনিশিয়ান আর্টিস্ট ফোরাম এবং প্রযোজকদের মধ্যে নানা বিতর্কের কারণে শুরুর দিনেই বন্ধ হয়ে গিয়েছিল শুটিং। অবশেষে বিগত বেশ কিছুদিন ধরে চলা এই জটিল পরিস্থিতির সমাধান হলো বৃহস্পতিবারের বৈঠকে। এদিন বৈঠকে আলোচনার পর শেষমেষ তালা খুলছে টলিপাড়ার, শুক্রবার থেকেই পুরোদমে শুরু হতে চলেছে শুটিংয়ের কাজ।
এদিনের বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন রাজ্য সরকারের তরফে অরূপ বিশ্বাস ও রাজ চক্রবর্তী, পরমব্রত চট্টোপাধ্যায় এর মত ব্যক্তিত্বরা। সমস্ত দিক আলোচনা করে সিরিয়ালের প্রযোজক চ্যানেল এবং ফেডারেশনের মত অনুযায়ী ঠিক হয় কাল থেকেই শুরু হবে টলিপাড়ার শুটিং। তবে আলোচনা এখানেই শেষ হয়নি যেমনটা জানা যাচ্ছে আপাতত সমস্যা মিটিয়ে ও আগামী 24 তারিখ আবারো একবার আলোচনায় বসবে সমস্ত সংগঠনগুলি।
সিরিয়ালের প্রযোজক ও ফেডারেশন এর মধ্যে চলা এই সমস্যা শুরু হয়েছিল দ্বিতীয় দফা লকডাউনের পরে পরেই। প্রাথমিকভাবে অভিযোগ উঠেছিল ওয়ার্ক ফ্রম হোম এর যে কালচার তৈরি হচ্ছে তাতে অসুবিধায় পড়তে পারেন সিরিয়াল ইন্ডাস্ট্রির সাথে জড়িত টেকনিশিয়ান থেকে শুরু করে কলাকুশলীরা। যদিও প্রযোজকদের মতে বাড়ি থেকে শুটিং হলে টেকনিশিয়ানদের প্রয়োজন না হলেও তাদের পারিশ্রমিক ঠিকই দেওয়া হবে। এই বিষয়ে থেকে শুরু হয়ে সমস্যা দিন দিন জটিলতর হয়েছে। সিরিয়াল গুলির বিরুদ্ধে অভিযোগ উঠেছে যে তারা লকডাউন ও করণা ভিডিও লঙ্গ করে শুটিং চালিয়ে গেছে।
ফেডারেশন এর মতে বেশকিছু সিরিয়ালের শুটিং ওয়ার্ক ফর্ম হোম করে করা হয়েছে বললেও আসলে বাইরে গিয়ে শুট করা হয়েছে। এমন মোট কুড়িটি সিরিয়ালের তালিকা জারি করা হয়েছিল ফেডারেশনের পক্ষ থেকে। যার মধ্যে ছিল মিঠাই, খড়কুটো এর মত জনপ্রিয় সিরিয়ালগুলোর নাম।
এই সমস্ত জটিলতার কারণেই ১৬ ই জুন থেকে টলিপাড়ায় শুটিং শুরু হওয়ার কথা থাকলেও শুরু হয়নি শুটিং। তাছাড়া গত মঙ্গলবার অ্যাসোসিয়েশনের পক্ষ থেকে একটি বিবৃতি জারি করা হয়েছিল যেখানে টেকনিশিয়ানদের পুরোনো নতুন যেকোনো ধরনের সিরিয়ালের সাথে কাজ করার আগে অ্যাসোসিয়েশনের অনুমতি নেওয়ার কথা বলা হয়েছিল। অন্যথায় সেই ব্যক্তির সদস্যপদ বাতিল হওয়া পর্যন্ত সম্ভাবনা ছিল বলে উল্লেখ ছিল এই বিবৃতিতে।
অবশেষে এই অচলায়তনের অবসান ঘটল টলিপাড়ায়। শুক্রবার থেকেই পুরোদমে চালু হয়ে যাবে শুটিং। এই সিদ্ধান্তে যেমন খুশি হয়েছেন টেকনিশিয়ান থেকে শুরু করে সিরিয়ালের কলাকুশলীরাও প্রযোজকরা তেমনি খুশি দর্শকেরা। কারণ বাড়ি থেকে শুটিং হওয়ার দরুন সিরিয়ালের মান নেমে গিয়েছিল অনেকটাই। তাছাড়া যৌথ পরিবারের সিরিয়াল গুলিতে বা যে সিরিয়াল গুলি বাড়িতে শুট করা সম্ভব নয় সেগুলির ক্ষেত্রে আকর্ষণ কমে যাচ্ছিল দর্শকদের। তবে শুটিং পুনরায় চালু হলে সেই সমস্যা কেটে যাবে বলেই মনে করা হচ্ছে।