এই মুহূর্তে গোটা বাংলার মানুষের ঈশ্বরের কাছে একটাই প্রার্থনা, যে করেই হোক যত দ্রুত সম্ভব সেরে উঠুক ‘জিয়নকাঠি’ খ্যাত জনপ্রিয় টেলি অভিনেত্রী ঐন্দ্রিলা শর্মা (Aindrila Sharma)।ইতিপূর্বে দু-দুবার ক্যান্সারের মতো মারণব্যাধিকে হারিয়ে মৃত্যুর মুখ থেকে ফিরে এসেছেন তিনি। তাঁর সেই লড়াই বাংলার অসংখ্য মানুষকে বেঁচে থাকার অনুপ্রেরণা জোগায়।
সবেমাত্র সেরে উঠেছিল সেই ক্ষত। তারপরেই সবকিছু ভুলে একটু একটু করে জীবনের স্বাভাবিক ছন্দে ফিরেছিলেন অভিনেত্রী। এরই মধ্যে মঙ্গলবার রাতে আচমকায় ব্রেন স্ট্রোক (Brain Stroke)হয় ঐন্দ্রিলার। বাড়িতে থাকা অবস্থাতেই অসাড় হয়ে গিয়েছিল অভিনেত্রীর গোটা শরীর। শুরু হয়েছিল বমিও। ওই অবস্থাতেই তড়িঘড়ি তাকে হাসপাতালে নিয়ে গিয়েছিলেন অভিনেত্রীর বাব- মা সাথে ছিলেন ঐন্দ্রিলার সবচেয়ে ভরসার কাঁধ তথা প্রেমিক সব্যসাচী চৌধুরী (Sabyasachi Chowdhury)।
জানা গিয়েছে গত চার দিন ধরে স্নান খাওয়া প্রায় ভুলতে বসেছেন সব্যসাচী। সেই থেকেই হাসপাতাল চত্বরে ঐন্দ্রিলার সেরে ওঠার অপেক্ষায় রয়েছেন তিনি। ঐন্দ্রিলার প্রতিমুহূর্তের আপডেট থেকে শুরু করে চিকিৎসকদের সাথে কথা বলা সবটাই তিনি করছেন একা হাতে। এরই মধ্যে অভিনেত্রীর শারীরিক অবস্থা নিয়ে চারপাশের উঠতে শুরু করেছেন নানা ধরনের গুজব।
এই পরিস্থিতিতে সবকিছু থেকে নিজেকে দূরেই রেখেছিলেন অভিনেতা। তবে শেষ পর্যন্ত এক প্রকার বাধ্য হয়েই প্রেমিকার শারীরিক অবস্থার খবর দিয়ে সোশ্যাল মিডিয়া পোস্টে সব্যসাচী জানিয়েছেন ‘ঐন্দ্রিলার বিষয়ে অযথা নেতিবাচক খবর ছড়ানো বন্ধ করুন। কিছু নিম্নমানের তথাকথিত মিডিয়ার ভুয়ো খবরে নিজেদের বিভ্রান্তি বাড়াবেন না অথবা ওর বাড়ির লোককে বিরক্ত করবেন না’।
এরপরেই নিজের অবস্থান স্পষ্ট করে দিয়ে পর্দার বামাখ্যাপা অভিনেতা সব্যসাচী লিখেছেন ‘আমি এখনও অবধি কোনও সংবাদমাধ্যমের সাথে যোগাযোগ করিনি, সাক্ষাৎকার দিইনি, দেবও না। শুধু জেনে রাখুন মেয়েটা লড়ে যাচ্ছে, সাথে লড়ছে একটা গোটা হাসপাতাল’। শেষে আত্মবিশ্বাসী সব্যসাচীর সংযোজন ‘নিজের হাতে করে নিয়ে এসেছিলাম, নিজের হাতে ওকে বাড়ি ফিরিয়ে নিয়ে যাবো। এর অন্যথা কিছু হবে না’।
কঠিন পরিস্থিতে দাঁড়িয়েও সব্যসাচীর এই পজিটিভ মানসিকতা আর লৌহ কঠিন মনোবল মন ছুঁয়ে গিয়েছে অনুরাগীদের। তাই সব্যসাচীর পাস্টের কমেন্ট সেকশনে অনুরাগীরা তাঁর প্রশংসা করার পাশাপাশি প্রার্থনা করেছেন ঐন্দ্রিলার তাড়াতাড়ি সেরে ওঠার। সকলেই আশায় বুক বেঁধেছেন এত মানুষের প্রার্থনা ঈশ্বর কখনই বিফলে যেতে দেবেন না।