বাংলা সিরিয়ালের (Bengali Serial) জনপ্রিয় অভিনেতা ঋষি কৌশিক (Rishi Kaushik)। স্টার জলসার জনপ্রিয় সিরিয়াল এখানে আকাশ নীলের ডক্টর উজান চ্যাটার্জী হয়ে অভিনয় জগতে জনপ্রিয়তা পেয়েছিলেন ঋষি। এরপর ‘ইষ্টি কুটুম’ থেকে শুরু করে ‘মুখোশ মানুষ’এর মতো একাধিক জনপ্রিয় ধারাবাহিকের অভিনয় করেছেন ঋষি। ছোট পর্দায় দারুন নামডাক করার পর ইতোমধ্যেই ওয়েব সিরিজের (Web Series) দুনিয়াতেও পা রেখেছেন অভিনেতা।
সম্প্রতি ওটিটি প্লাটফর্ম এর মুক্তিপ্রাপ্ত জনপ্রিয় ওয়েব সিরিজ ‘শ্বেতকালি’তে অভিনয় করে নজর কেড়েছেন ঋষি। অন্যদিকে বর্তমানে কালার্স বাংলার জনপ্রিয় ধারাবাহিক ‘সোনা রোদের গান’-এ অভিনয় করছেন তিনি। প্রসঙ্গত এতদিনে সকলেই নিশ্চয়ই জানেন বাংলা বিনোদন জগতের জনপ্রিয় অভিনেতা হলেও ঋষি কিন্তু আসলে বাঙালি নন। আদতে তিনি আসামের তেজপুরের বাসিন্দা।
সেই ২০০২ সাল থেকে কাজের সন্ধানে নিজের শিকড় ছেড়ে কলকাতায় পাড়ি দিয়েছিলেন তিনি। তবে উৎসবের দিনগুলোতে আজও তাঁর মনে পড়ে যায় আসামের নববর্ষ উদযাপনের দিনগুলির কথা। সম্প্রতি নিউজ ১৮ বাংলায় পুরনো সেই স্মৃতির ঝাঁপি খুলেছিলেন অভিনেতা। বাংলাই এখন তার ঘরবাড়ি ঠিকই কিন্তু নববর্ষ অর্থাৎ পয়লা বৈশাখের দিনে অভিনেতার মন পড়ে থাকে আসামের তেজপুরে।
ঋষির কথায় ‘ এই সময়টায় মনে পড়ে আমাদের বাড়িটার কথা। কত কত মজার নিয়মকানুন পালন করা হত’। বাংলায় যখন নববর্ষ, আসামে তখন বিহু। নিয়ম কানুন আলাদা হলেও উৎসবের মেজাজের তুল্যমূল্য বিচার করলে খুব একটা ফারাক নেই। ঋষির কথায় জানা যায় বাংলার মত সেখানেও নতুন জামা কেনা থেকে শুরু করে বড়দের প্রণাম করা এমনকি কিছু নির্দিষ্ট পদ রান্না করা থেকে শুরু করে হালখাতা করতে দোকানে দোকানে যাওয়া কিংবা দল বেঁধে নাচ গান দেখতে যাওয়া সবকিছুরই প্রচলন রয়েছে।
তবে ঋষির কথায় ‘শিকড় কি আর ভোলা যায়, তাই বৈশাখের শুরুতেঅসমে যেতে ইচ্ছা করে’। অভিনেতার কথায় জানা যায় আসামে বিভিন্ন মরশুমে বিভিন্ন ধরনের বিহু পালন করা হয়। বৈশাখ মাসে যে বিহু পালন করা হয় তার নাম বহাগ বিহু। অনেকের কাছে আবার এই বিহু রঙালি বিহু নামেও পরিচিত। রঙালি মানে হল আনন্দ। তাই ঢোল বাজিয়ে প্যাঁপা বাঁশি বাজিয়ে সেখানে বিহু পালিত হয়।
অভিনেতা জানান বাংলার মত এই বিহুতে এত এলাহি খাওয়া দাওয়ার আয়োজন না থাকলেও বিশেষ কিছু পদ তৈরি হয়ে থাকে। যার মধ্যে অন্যতম নারকেলের পিঠে, চীড়ে দই মাখা, নাড়ু,তিলপিঠে ইত্যাদি। পুরনো দিনে নিজের উৎসবের দিনগুলো কাটানোর কথা বলতে গিয়ে ঋষি জানান ছোটবেলায় কাঁধে গামছা নিয়ে (আসলে এ সময়ে আসামে গামছা উপহার দেওয়ার চল রয়েছে) বাড়ির গরুর প্রতিপালনে যোগ দিতেন অভিনেতা। এই বহাগ বিহুর সময় নাকি গরুর যত্ন করার নিয়ম রয়েছে। ঋষির কথায় জানা যায় ১৪ই এপ্রিল গরুকে পুজো করা হয়। কলাইয়ের ডাল বা মুগ ডাল বেটে গরুর গায়ে মালিশ করে ভালো করে স্নান করানো হয়। পরের দিন অর্থাৎ ১৫ তারিখ বিহু নাচ হয় চারদিকে।