এক সপ্তাহও হয়নি মা দুর্গা বিদায় নিয়েছেন। এমনিতেই সকলের মন খারাপ। তবে মা লক্ষ্মীর আরাধনায় মেতে সেই দুঃখ খানিক কমতে বসেছিল। কিন্তু এর মধ্যেই একটি সংবাদের সৌজন্যে ফের শোকের ছায়া নেমে এল টলিউড ইন্ডাস্ট্রি সহ সম্পূর্ণ রাজ্যে। কোজাগরী লক্ষ্মী পুজোর দিনই সকলের মন খারাপ করে চিরবিদায় নিলেন জনপ্রিয় অভিনেতা চন্দ্রলাল চৌধুরী (Chandralal Chowdhury)।
টলিউডের অন্যতম নামী অভিনেতা চন্দ্রলালের জনপ্রিয়তা বেশি চাঁদু চৌধুরী (Chandu Chowdhury) হিসেবেই। অভিনয় করেছেন একাধিক সুপারহিট সিনেমায়। মৃত্যুকালের অভিনেতার বয়স হয়েছিল ৭৯ বছর। স্বাভাবিকভাবেই ইন্ডাস্ট্রির একজন নামী শিল্পীকে হারিয়ে মন খারাপ বাকি সকলের।
অভিনেতার পরিবার সূত্রে জানা গিয়েছে, বিজয়া দশমীর দিনই হৃদরোগে আক্রান্ত হয়েছিলেন তিনি। সঙ্গে সঙ্গে তাঁকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। চন্দ্রলালকে রাখা হয়েছিল লাইফ সাপোর্ট সিস্টেমে। কিন্তু জীবনযুদ্ধে শেষ পর্যন্ত নতিস্বীকার করলেন তিনি। লক্ষ্মী পুজোর দিন সকালেই প্রয়াত হন বর্ষীয়ান অভিনেতা।
নব্বইয়ের দশকের অত্যন্ত জনপ্রিয় একজন শিল্পী ছিলেন চাঁদু। কখনও তাঁকে দেখা গিয়েছে কমেডিয়ানের চরিত্রে, কখনও আবার ভিলেনের রোলে। বিশেষ করে নামী পরিচালক অঞ্জন চৌধুরীর বহু সিনেমায় অভিনয় করেছেন তিনি।
‘ছোট বউ’, ‘মেজ বৌ’, ‘বড় বৌ’ থেকে শুরু করে ‘শ্রীমান ভূতনাথ’ হয়ে ‘মুখ্যমন্ত্রী’ চন্দ্রলালবাবুর ঝুলিতে রয়েছে একাধিক সুপারহিট সিনেমা। এছাড়াও কলকাতা দূরদর্শনের ‘রঙ্গরস’ অনুষ্ঠানটিতে কৌতুক শিল্পী হিসেবে নিয়মিত অংশগ্রহণ করতেন তিনি। চাঁদুবাবুর হাত ধরে বহু শিল্পী অভিনয়ের দুনিয়াতেও পা রেখেছেন। এমনই একজন শিল্পী হলেন সাহেব ভট্টাচার্য।
স্বাভাবিকভাবেই তাই বর্ষীয়ান অভিনেতার মৃত্যুর খবরে অনেকটা ভেঙে পড়েছেন সাহেব। চন্দ্রলালবাবুর মৃত্যুর খবর সোশ্যাল মিডিয়ায় শেয়ার করে অভিনেতা লিখেছেন, ‘চলে গেলেন ৯০’ এর দশকের অন্যতম চরিত্র অভিনেতা চাঁদু চৌধুরী। চাঁদু জেঠুর হাত ধরে আমি প্রথম বার যাই ডিরেক্টর অঞ্জন চৌধুরীর সঙ্গে NT-1 স্টুডিওতে। আমার জীবনের প্রথম ছবি ‘সংঘর্ষ’ তার সুবাদে পাওয়া। তাঁর আত্মার শান্তি কামনা করি। ভালো থেকো চাঁদু জেঠু’। বর্ষীয়ান অভিনেতার মৃত্যুতে শোক জ্ঞাপন করেছেন টলিউডের অন্যান্য বহু কলাকুশলী।