অরিজিৎ সিংয়ের (Arijit Singh) সঙ্গে প্রেমের (Love) যেন এক নিবিড় সম্পর্ক রয়েছে। তিনি যে কত আইকনিক গান গেয়েছেন তা গুনে শেষ করা যাবে না। ‘তুম হি হো’ থেকে শুরু করে ‘কেশরিয়া’- অরিজিতের গাওয়া ভালোবাসার গান বরাবরই হিট। আজ এই গায়কেরই প্রেম জীবনের এমন এক অজানা কাহিনী তুলে ধরা হল, যা এতদিন ছিল পর্দার আড়ালে।
হাজারো প্রেমের গান গাইলেও, অরিজিতের ব্যক্তিগত জীবন এবং প্রেম জীবন বরাবর পর্দার আড়ালেই থেকেছে। তাঁর স্ত্রী কোয়েলের সঙ্গেও প্রেম কাহিনী কীভাবে শুরু হয়েছিল তা তেমন কেউ জানে না। কিন্তু একবার অরিজিৎ নিজেই নিজের প্রেম জীবন নিয়ে মুখ খুলেছিলেন। সেই সঙ্গেই কথা বলেছিলেন নিজের জীবনের প্রথম ‘ভালোলাগার মানুষের’ বিষয়ে।
অনেকেই ভাবেন, অরিজিতের জীবনে প্রেম হয়তো একবারই এসেছে, আর সেই প্রেম এনেছেন তাঁর স্ত্রী। তবে বাস্তবে কিন্তু এমনটা হয়নি। বরং ক্লাস ফাইভে পড়াকালীনই মন হারিয়েছিলেন গায়ক। অরিজিৎ জানিয়েছিলেন, তিনি যে স্কুলে পড়তেন সেই স্কুলের এক শিক্ষিকাই (School teacher) ছিলেন তাঁর ছোটবেলার ‘ক্রাশ’।
‘কেশরিয়া’ গায়কের বয়স তখন সবে ১০। ক্লাস ফাইভে পড়েন তিনি। অথচ এই বয়সেই তাঁর মনে বইছে প্রেমের হাওয়া। একবার এক সর্বভারতীয় সংবাদমাধ্যমের কাছে এই বিষয়ে কথা বলতে গিয়ে লজ্জায় লাল হয়ে গিয়েছিলেন বঙ্গ তনয়। সেই সঙ্গেই শেয়ার করেছিলেন এক কাহিনীও।
একবার পরীক্ষার সময় অরিজিতের পছন্দের শিক্ষিকা গার্ড হিসেবে এসেছিলেন। তাঁকে দেখেই নাকি গায়কের পরীক্ষা দেওয়া মাথায় উঠেছিল। উত্তর না লিখে, তিনি নাকি পরীক্ষার হলে বসেই ভালোবাসার গান গুনগুন করতে শুরু করেছিলেন। ‘ভুল ভেঙে যাবে যেদিন, তুমি আমারই হবে, তুমি আমারই হবে সেদিন’ গেয়েছিলেন তিনি।
এই ঘটনার পর কী হয়েছিল, সেই পরীক্ষায় কত নম্বর পেয়েছিলেন বা আদৌ পাশ করেছিলেন কিনা তা অবশ্য খোলসা করেননি অরিজিৎ। আজ গায়ক হিসেবে প্রচণ্ড সফল মুর্শিদাবাদের জিয়াগঞ্জের এই ছেলে। সেই সঙ্গে স্ত্রী, সন্তানদের নিয়ে সুখের সংসার তাঁর। তবে এত বছর পরেও নিজের জীবনের প্রথম ‘ক্রাশ’কে যে তিনি ভোলেননি তা বুঝে নিতে কোনও অসুবিধা হয় না।