Arijit Singh Educational Qualification: এই মুহূর্তে দেশের চর্চিত গায়কদের মধ্যে অন্যতম হলেন অরিজিৎ সিং (Arijit Singh)। একের পর এক সুপারহিট গান শ্রোতাদের উপহার দিয়ে চলেছেন তিনি। মুর্শিদাবাদের এই গায়ককে অনেকেই ‘হিট মেশিন’ তকমাও দিয়েছেন। নিজের তুখোড় গায়কীর মাধ্যমে কোটি কোটি মানুষের মন জয় করে নেওয়া এই গায়ক পড়াশোনায় (Educational Qualification) কেমন ছিলেন? অনেকের মনেই প্রায়শয় উঁকি দেয় এই প্রশ্ন। আজকের প্রতিবেদনে সেই তথ্যই তুলে ধরা হল।
কাশ্মীর থেকে শুরু করে কন্যাকুমারী- অরিজিতের গান মজেছে গোটা ভারত। অবশ্য শুধুমাত্র দেশেই নয়, বিদেশেও একাধিক কনসার্ট করেন তিনি। সেখানেও উপচে পড়ে শ্রোতাদের ভিড়। গানের জগতে সেরা হওয়ার পাশাপাশি অরিজিৎ কিন্তু পড়াশোনাতেও বেশ ভালোই ছিলেন। ‘কেশরিয়া’ গায়কের শিক্ষাগত যোগ্যতা (Arijit Singh Educational Qualification) শুনলে চমকে উঠবেন আপনিও।
মুর্শিদাবাদের জিয়াগঞ্জের ছেলে অরিজিৎ। সেই জেলারই রাজা বিজয় সিং হাইস্কুলে (Raja Bijoy Singh High School) পড়াশোনা করেছেন অরিজিৎ। স্কুল স্তরের পড়াশোনা সম্পূর্ণ করার পর কল্যাণী বিশ্ববিদ্যালয়ের (Kalyani University) অন্তর্গত রাজা শ্রীপত সিং কলেজে (Sripat Singh College) ভর্তি হন তিনি। সেখান থেকেই গ্র্যাজুয়েশন (Graduate) সম্পন্ন করেন অরিজিৎ। ছোটবেলা থেকেই পড়াশোনায় ভালো ছিলেন গায়ক, তবে লেখাপড়ার থেকে বেশি সঙ্গীতের প্রতি ভালোবাসা ছিল তাঁর।
খুব ছোটবেলাতেই সঙ্গীতচর্চা শুরু করেছিলেন অরিজিৎ। ছেলের পছন্দকে গুরুত্ব দিয়েছিলেন গায়কের বাবা-মা। খুব কম বয়সেই ভারতীয় শাস্ত্রীয় সঙ্গীত, রবীন্দ্র সঙ্গীত, তবলা বাজানো এবং পপ সঙ্গীতের পাঠ নেওয়া শুরু করে দিয়েছিলেন অরিজিৎ। তাঁর গুরু ছিলেন রাজেন্দ্র প্রসাদ হাজারি, ধীরেন্দ্র প্রসাদ হাজারি এবং বীরেন্দ্র প্রসাদ হাজারি।
তবে শুধুমাত্র গানই নয়, সঙ্গীত ছাড়াও সাইকেল চালানো, বাংলা গল্প এবং উপন্যাস পড়া এবং ফটোগ্রাফির প্রতিও আগ্রহ রয়েছে অরিজিতের। তবে গায়কের ভাগ্য বদলে যায় ‘ফেম গুরুকুল’এ অংশগ্রহণ করার পর। মাত্র ১৮ বছর বয়সে এই রিয়্যালিটি শোয়ে ভাগ নেন তিনি। সেই প্রতিযোগিতা জিততে না পারলেও নিজের তুখোড় গায়কীর মাধ্যমে সকলের নজর কেড়েছিলেন এই বঙ্গ তনয়।
‘ফেম গুরুকুল’ বিজেতা না হতে পারলেও সঙ্গীত চর্চা ছাড়েননি অরিজিৎ। আর সেই জন্যই আজ তিনি দেশের প্রথম সারির গায়কদের মধ্যে একজন হয়ে উঠেছেন। আসমুদ্র হিমাচল তাঁর গানের ফ্যান। তবে এত জনপ্রিয়তা, সাফল্য সত্ত্বেও অরিজিৎ কিন্তু মাটির মানুষ হয়েই থেকে গিয়েছেন। মুম্বইয়ের বিলাসবহুল জীবন ছেড়ে এখনও জিয়াগঞ্জের বাড়িতে পরিবার নিয়ে থাকেন অরিজিৎ। স্কুটি চেপে আর পাঁচজন সাধারণ মানুষের মতো চলাফেরা করেন। আর তাঁর এই সরলতাই তাঁকে বাকিদের থেকে আলাদা করে তুলেছে।