বলিউডের মোস্ট হ্যান্ডসাম এবং রোমান্টিক হিরোদের মধ্যে অন্যতম হলেন দেবানন্দ (Dev Anand)। ষাটের দশকে বিটাউনের আনাচে কানাচে ঘোরাফেরা করতো শুধু তাঁরই নাম। তাই তাঁর মৃত্যুর এতো বছর পরেও নিজের সেই অসামান্য অভিনয় গুনেই আজও অসংখ্য মানুষের হৃদয়ে রাজ্ করছেন অভিনেতা।
একটা সময় ছিল যখন দেবানন্দ বলতেই এক কথায় অজ্ঞান ছিলেন আসমুদ্র হিমাচল অসংখ্য তরুণী।তাঁকে এক ঝলক দেখার জন্য না জানি কত ধরণের কত রকম পাগলামি করতেন দেবানন্দের অসংখ্য মহিলা ভক্ত (Ladies Fan)। তাঁকে নিয়ে পাগলামির অন্ত ছিল না মহিলা ভক্তদের। এমনকি ও শোনা যায়, পর্দায় দেবানন্দের এক ঝলক পাওয়ার জন্যই একই সিনেমার টিকিটই লাইন দিয়ে হলেও বারবার কাটতেন মহিলা ভক্তরা।
ভক্তদের এমনি অসংখ্য পাগলামির গল্প আছে। যা বলতে শুরু করলে আর বোধ হয় শেষ হওয়ার নয়। তবে ভক্তদের ডাকে সাড়া দিতেন দেবানন্দও। মাঝে মধ্যেই সবাইকে চমকে দিয়েই হাজির হতেন ভক্তদের মধ্যে। বলা হয় দেবানন্দের মতো মহিলা ভক্ত পরবর্তীতে আর কখনও স্টারের হয়নি।
তবে সবথেকে আজব ঘটনা হল ষাটের দশকের স্বপ্নের পুরুষ দেবানন্দ কে একবার সামনে থেকে দেখার জন্য মহিলারা এতো টাই নেশাগ্রস্তের মতো জ্ঞানশ্যূন্য হয়ে পড়তেন যে উঁচু উঁচু বিল্ডিং থেকে ঝাঁপ মারতেও দুবার ভাবতেন না। রুপোলি পর্দার সাদাকালো নায়ক কে বাস্তবে সামনে থেকে দেখার আশায় নিজের প্রাণের ময় টুকু পর্যন্ত করতেন না অনেকে।
তাই মিডিয়া রিপোর্ট অনুযায়ী খবর এই অসম্ভব ভীড় এবং মহিলা ভক্তদের প্রাণে বাঁচাতে একটা সময় নাকি রাস্তাঘাটে কালো কোট পরে বেরোনো নিষেধ ছিল দেবানানদের। তাই নাকি প্রবল ইচ্ছা সত্ত্বেও কালো কোট ছাড়াই বাড়ির বাইরে বের হতে হত দেবনান্দকে। তাই ষাটের দশকের এই স্বপ্ন সুন্দর পুরুশের চাহনি থেকে শুরু করে সংলাপ বিপ্লৱ ধরণ কিছুই ভোলেননি তাঁর অসংখ্য অনুরাগী।