সিরিয়াল মানেই দর্শকদের অত্যন্ত পছন্দের একটি বিষয়। আর বর্তমানে করোনা কালে বাড়ি বসে বিনোদনের অন্যতম মাধ্যম হয়ে উঠেছে সিরিয়াল। তাই দিনে দিনে দর্শকমহলেও বাড়ছে সিরিয়ালের চাহিদা। দর্শকদের চাহিদার কথা মাথায় রেখেই নানান পরীক্ষা নিরীক্ষার মাধ্যমে সিরিয়ালের বিষয়বস্তুতেও আনা হচ্ছে নতুনত্বের ছোঁয়া।
লক্ষনীয় বিষয় হল আজকালকার দিনে বেশীরভাগ সিরিয়ালেই অধিক গুরুত্ব পায় নারীকেন্দ্রিক চরিত্র। অল্প কয়েকদিনের মধ্যেই দর্শকমহলে বিপুল জনপ্রিয় এমনই একটি সিরিয়াল হল ‘আয় তবে সহচরী’ (Aye Tobe Sohochori)। সিরিয়ালের ট্রাকে বেশকিছুদিন আগেই সহচরীর বাড়িতে আগমন ঘটেছে দেবতার। সহচরীর বরের তার সাথে বিবাহ বহির্ভূত সম্পর্ক রয়েছে।
টিভির পর্দায় দেবীনার একঘেয়ে কূটকচালী দেখে বিরক্ত দর্শক। কিছুদিন ধরেই সিরিয়ালে শিক্ষার বদলে পরকিয়াকে বেশি প্রাধান্য দিচ্ছে। তাই সিরিয়ালের ’প্লট চেঞ্জ করার’ দাবিতে সোশ্যাল মিডিয়ায় সরব হয়েছিলেন সহচরী ভক্তরা। এরই মধ্যে বদলে গিয়েছে এই সিরিয়ালের পরিচালক। শুরুতে সুমন দাসের (Suman Das) কাঁধে এই সিরিয়ালের পরিচালনার দায়িত্ব থাকলেও এখন তা সামলাচ্ছেন নতুন পরিচালক।
এই সিরিয়াল নিয়ে দর্শকমহলে সম্প্রতি যে ক্ষোভ তৈরি হয়েছে তাই সম্প্রতি সংবাদমাধ্যমে মুখ খুলেছিলেন প্রাক্তন পরিচালক। হঠাৎ সিরিয়ালের পরিচালনার দায়িত্ব ছেড়ে দেওয়ার প্রসঙ্গে তিনি বলেছেন ‘আয় তবে সহচরী’র পরিচালনার দিক থেকে আমার সঙ্গে ১ মাসের চুক্তি ছিল। পরে খুব জোড়াজুড়ি করতে ৪ মাস করে ছিলাম। একটা সময় পর হাঁপিয়ে উঠেছিলাম, পারছিলাম না , প্রযোজক যেটা চাইছিল সেটা হয়তো দিতে পারছিলাম না।পরে ভাবলাম সম্পর্ক নষ্ট করে লাভ নেই এখান থেকে বেরিয়ে আসাটাই শ্রেয়।’
সেইসাথে এই প্রাক্তন পরিচালকের আরও সংযোজন ‘আমি এই টিপিক্যাল মেগাসিরিয়ালের তুলনায় একটু ধরে কাজ করতে ভালোবাসি। আর একটা মেগা সিরিয়ালে ৪ মাস পর সিরিয়াল টার মধ্যে আর কিছু থাকে না।’ তবে দর্শকদের টানে আবার সিরিয়ালের পরিচালনার দায়িত্বে ফিরে আসতেও আপত্তি নেই তার। এ প্রসঙ্গে তিনি বলেছেন ‘যদি আবার পর্দায় কলেজের পার্ট ফিরে আসে , যদি আবার প্রযোজক আমাকে ফেরাতে চায় তবে নিশ্চই ফিরবো।’