বর্তমান যুগে দাঁড়িয়ে বিনোদনের দুনিয়ায় আসাটা অনেক সোজা হয়ে গিয়েছে। বড়পর্দা, ছোটপর্দা, থিয়েটার কিংবা ডিজিটাল মাধ্যমে অভিনয়ের সুযোগ এখন প্রচুর। তাছাড়া নামের আগে অভিনেতা লাগিয়েই অনেকে রাতারাতি অভিনয় শুরু করে দেন। যেমন ধরুন সোশ্যাল মিডিয়াতেও অনেকেই নিজেদের মডেল বা অভিনেত্রী হিসাবে দাবি করেন। এককথায় এযুগে দাঁড়িয়ে রাতারাতি অভিনেতা হওয়া যায়, এমনটাই জানালেন অভিনেতা অনির্বাণ ভট্টাচার্য (Anirban Bhattacharya)।
আসলে নেটমাধ্যমে প্রত্যেকেই নিজেদের মতামত খোলাখুলিভাবে পেশ করতে পারেন। তবে সুনাম বা আলোচনার মাঝে তীব্র সমালোচনা আর কটাক্ষও নিত্য সঙ্গী। থিয়েটার থেকে বড়পর্দায় সুযোগ পেলেই ‘জাতে ওঠা’ এর মত শব্দ ব্যবহার করা হচ্ছে শিল্পীদের নিয়ে। সম্প্রতি এমনটাই হয়েছে অভিনেত্রী রায়তী ভট্টাচার্যর সাথে। তাই এই বিষয়ে মুখ খুলে অভিনেত্রী স্পষ্ট জানান, কে কোথায় অভিনয় করবে সেটা তার ব্যক্তিগত পছন্দ। কিন্তু তাবলে থিয়েটারের সহকর্মীদের থেকে ‘তুই বেশ করে দেখালি’ এর মত মন্তব্য মোটেই ভালো লাগে না।
ডিজিটাল মাধ্যমের যুগে সবাই নিজেকে সাহাতে যেমন ব্যস্ত তেমনি ব্যস্ত সোশ্যাল মিডিয়াতে ফ্যান ফলোয়িং বাড়াতে। জনপ্রিয়তা বাড়াতে নিয়মিত ছবি থেকে ভিডিও দিয়ে সাজিয়ে নিচ্ছে সোশ্যাল প্রোফাইল। তেমনি আবার অন্দরে অন্দরে বাড়ছে একাকীত্ত্ব আর না পাওয়ার হতাশা। যার জেরে চরম সিদ্ধান্ত নিচ্ছেন অনেকেই, বিগত কয়েক মাসে এমন একাধিক উদাহরণ মিলেছে।
থিয়েটার বা নাট্যমঞ্চ তো বটেই টলিউডের একজন বিখ্যাত অভিনেতা অনির্বান ভট্টাচার্য। সম্প্রতি তাকে এই বিষয়ে জিজ্ঞাসা করা হলে তিনি বলেন, ‘এটা খুবই স্বাভাবিক একটা ব্যাপার। মঞ্চের ভালো অভিনেতাকে ভালো কাজ করতে থাকলে সিনেমায় ডাকা হয়। এরপর সিনেমায় ভালো অভিনয় করলে আরও জনপ্রিয়তা বাড়ে মানুষের ভালোবাসা পায়। এতকাল ধরে সারা বিশ্বে এমনটাই হয়ে আসছে। এই নিয়ে কে প্রশংসা করল আর কে নিন্দা সেটা ধরাছোঁয়ার মধ্যেই আসে না। আর ঈর্ষা করে মন্তব্য করাটাও দীর্ঘদিন ধরেই চলে আসছে’।
কিন্তু এই বাড়তে থাকা জনপ্রিয়তার ভিড়ে যদি খাপ খাওয়াতে না পেরে খারাপ লাগা বাড়তে থাকে? এর উত্তরে অভিনেতা জানান, সেক্ষেত্রে নেটমাধ্যম থেকে নিজেকে দূরে সরিয়ে নিতে হবে। কারণ সেটা না করলে খারাপ লাগা বাড়তে থাকবে। তবে নিজেকে উপদেশ দেওয়ার মত কেউ নন বলেই জানিয়েছেন তিনি। তবে, ঘুম থেকে উঠে কারোর সোশ্যাল মিডিয়া পোস্ট দেখে যদি মন খারাপ হয় তাহলে কিন্তু মুশকিল।
অনির্বাণের মতে, ‘ইদানিং অভিনেতা অভিনেত্রীরা নিজেদের সোশ্যাল মিডিয়া প্রোফাইল সাজাতে যে পরিশ্রম করছেন সেটা অভিনয়েও দেন না’। কিন্তু দিনের শেষে কিন্তু সোশ্যাল মিডিয়া ফলোয়ার নয়, অভিনয়ের দক্ষতাই প্রশংসিত হয়। এরপর অবশ্য আরও কিছু কথা জানান অভিনেতা। তিনি বলেন, অনেকেই ভাবে অভিনয়ে কিছুই করতে হয় না, তাই রাতারাতি অভিনেতা হওয়া হয়। কিন্তু ডাক্তারি পড়াশোনা যেমন পড়াশোনা, ল্যাব ওয়ার্ক খাটনি আছে অভিনয়েও ঠিক তেমনই পরিশ্রম করতে হয়।