বিগত দিন পনেরোয় পল্লবী (Pallavi), বিদিশা (Bidisha) থেকে মঞ্জুষা (Manjusha) একেরপর এক মডেল অভিনেত্রীদের মৃত্যুর খবরে কেমন যেন মুষড়ে পড়েছে বিনোদন জগৎ। হাজারো প্রশ্ন জাগছে শিল্পী থেকে শুরু করে সাধারণ দর্শকদের মনে। কাজ না মেলার দুশ্চিন্তা নাকি মানসিক অবসাদ নাকি অন্য কিছু? কখনো সম্পর্কের প্যাঁচ তো কখনো নেশাগ্রস্ত হওয়ার ঘটনাও সামনে এসেছে। এবার অভিনয় ইন্ডাস্ট্রির একেরপর এক হওয়া মৃত্যু নিয়ে মুখ খুললেন মেকআপ আর্টিস্ট হেমা মুন্সী (Hema Munshi)।
বিগত কয়েক দশক ধরে পর্দার শিল্পীদের মেকআপ আর্টিস্ট হিসাবে কাজ করে আসছেন হেমা। তবে যেহেতু পর্দার পিছনেই মূলত থাকতে হয় তাকে তাই হয়তো দর্শকদের অনেকেই তাকে চেনন না। সম্প্রতি একেরপর এক হওয়া বিন্দন জগতের শিল্পীদের আত্মহত্যা চিন্তিত করে তুলেছে তাকেও।
তাঁর মত, ‘বর্তমানে কলকাতার অলিগলিতে ব্যাঙের ছাতার মত মডেলিং থেকে অভিনয় শেখানোর ইনস্টিটিউট তৈরী হয়ে গিয়েছে। সেখান থেকে পাশকরলেই সবাই মডেল থেকে অভিনেত্রী হয়ে যাচ্ছে। এমনকি যারা ইনস্টাগ্রামে রিল বানিয়ে ভাইরাল হচ্ছে তারাও মডেল! এরা সব নেশার ঘরে উল্টোপাল্টা কাজ করে বসছে আর তাতে ইন্ডাস্ট্রির নাম বদনাম হচ্ছে।’
হেমার কথায়, ‘আগে যে সময় মাধবীলতা, নয়নিকারা কাজ করতেন তখন তারা নিজেদের প্রচন্ডরকম নিয়মে বেঁধে রাখতেন। নিয়মিতভাবে শরীরের যত্ন নিতেন, আর কাজের জন্য সর্বদাই নিবেদিতপ্রাণ ছিলেন তাঁরা। কিন্তু বর্তমান প্রজন্মের মধ্যে সেটার বড়ই অভাব। বর্তমানে বিজ্ঞাপনে ভিড় বাড়াতে একাধিক অভিনেতা অভিনেত্রীকে কাজ করানো হয় (ক্রাউড মডেল)। কিন্তু এদের থেকে খুব কমজনই লক্ষ্যে পৌঁছাতে পারে। বেশিরভাগই দু একটা কাজের পর হারিয়ে যায়’।
এরপর তিনি আরও বলেন, আসলে খান বেশিভাগেরই কাজে মন নেই। সর্বদাই হাতে ফোন নিয়ে ব্যস্ত নাহলে এই সময়ে ছেড়ে দিতে হবে, কাজ আছে। এঁরা হয়তো জলুসে ভরা জগতের জন্যই মডেলিং এ এসেছে। মডেলিং কাজের প্রতি এদের সেভাবে ইন্টারেস্ট নেই। তাছাড়া সর্বদাই হাতে সিগারেট নয় তো গাঁজা! বিশেষ করে যারা বাইরে থেকে এই শহরে এসে পরিবারের থেকে দূরে থাকছে তারা সর্বদাই নেশায় ডুবে থাকছে। আর শেষে পরিস্থিতি খারাপ হলেই নিজেকে সামলাতে না পেরে ভুল সিদ্ধান্ত নিয়ে বসছে’।