প্রতিদিনের ব্যস্ত জীবনে এগিয়ে যাবার তাড়া সকলেরই রয়েছে। তবে যেটার জন্য সময় নেই সেটা হল নিজের শরীরের প্রতি নজর দেওয়া ও নিজের স্বাস্থ্যের (Health) খেয়াল রাখা। আর এই অবহেলার ফলেই নানা ধরণের সমস্যার সৃষ্টি হয়। এমনই একটি অস্বাস্থ্যকর অভ্যাসের পরিণতি হল দাদ বা চুলকানি (Ringwarm or Itching Problem) রোগ। আজকাল অনেকেই এই সমস্যায় ভুগছেন। তাই আজ বংট্রেন্ডের পাতায় এই দাদ থেকে মুক্তি পাবার উপায় নিয়ে হাজির হয়েছি।
প্রাথমিকভাবে দাদকে চিনতে অনেকেরই সমস্যা হতে পারে। সামান্য ত্বকের জ্বলনের মতি থাকে প্রথমে তবে ধীরে ধীরে ত্বকের ওপর একটা আস্তরণ মত পড়তে শুরু হয়। সাথে অস্বস্থি ও চুলকানি হয়। এখানেই সমস্যা, দাদ বা চুলকানি এমন একটি রোগ যেটা চুলকাতে থাকলেই আরও বাড়তে থাকে। আর মাত্রা ছাড়া হবার আগেই ঘরোয়া কিছু উপায় ব্যবহার করে দেখা যেতে পারে। নাহলে অবশ্যই ডাক্তাররে পরামর্শ নেওয়া উচিত। আজ দাদ থেকে মুক্তি পাবার কিছু ঘরোয়া উপায় গুলি জেনে নেব।
১. রসুন (Ginger)
রসুন ছত্রাক জনিত সংক্ৰমণ দূর করতে সাহায্য করে। আর দাদ একটি ছত্রাকজনিত সংক্ৰমণ, তাই দাদের ওপর রসুন দারুন কার্যকরী। ১ কোয়া রসুন ভালো করে থেতলে নিয়ে তাতে কয়েক চামচ অলিভ অয়েল ও সমপরিমাণ মধু মিশিয়ে দাদের জায়গায় লাগিয়ে নিন। এরপর মিনিট ১৫-২০ পর জল দিয়ে ধুয়ে নিন। এতে চুকলানি যেমন কমবে তেমনি উপশমও হবে।
২. কাঁচা হলুদের রস (Turmeric)
হলুদকে প্রাকৃতিক অ্যান্টি সেপটিক ও অ্যান্টি ফাঙ্গাল উপাদান হিসাবে মানা হয়। আর এই কাঁচা হলুদের রস দাদ হওয়া স্থানে ভালো করে মাখিয়ে দিলে সেটা চুকলানি কমানোর পাশাপাশি সংক্ৰমণ বেড়ে যাওয়া আটকাতে সাহায্য করে।
৩. অ্যালোভেরা (Aloevera)
অ্যালোভেরা হল এমন একটি উপাদান যেটা মানুষের জীবনের প্রায় সব ক্ষেত্রেই কাজে লাগে। আর ত্বকের সমস্যা অর্থাৎ দাদের ক্ষেত্রেও এটি বেশ উপকারী। অ্যালোভেরার মধ্যে রেজিন থাকে যেটা সংক্রমণ কমাতে দারুন কাজ করে। এরপাশাপাশি চুলকানিভাব কমানো ও প্রদাহ কমাতেও সাহায্য করে।
৪. তুলসী পাতা (Tulsi Leaves)
সর্দি কাশি থেকে শুরু করে নানা রোগে দারুন উপকারী এই তুলসী পাতা। আর এই তুলসী পাতার মধ্যে রয়েছে অ্যান্টি ইনফ্লেমেটরি ও অ্যান্টি ফাঙ্গাল গুণাবলী যেটা দাদের সংক্ৰমণ রোধ করতে সাহায্য করে।
৫. মধু (Honey)
মধুর মধ্যে হাইড্রোজেন পারঅক্সাইড থাকে যেটা ছত্রাক নাশক হিসাবে কাজকরে। তাই দাদ হওয়া স্থানে মধু লাগিয়ে দিলে প্রদাহ ও চুলকানিভাব থেকে মুক্তি পাওয়া যেতে পারে।
তবে, এই সমস্ত উপায়গুলি চুকলানির প্রাথমিক অবস্থায় কার্যকরী। বাড়াবাড়ি পর্যায় পৌঁছে গেলে বা ঘরোয়া টোটকায় কাজ না হলে অবশই ডাক্তারের পরামর্শ নেওয়া উচিত।