ডিম (Egg) হল এমন একটি খাদ্যবস্তু যেটা পৃথিবীর যে কোনো জায়গায় গেলে পাওয়া যাবে। আর ডাক্তারদের মতে ভালো থাকতে গেলে ডিম অবশ্যই খেতে হবে। ডিমের মধ্যে রয়েছে অনেক বেশি পরিমান প্রোটিন যেটা মানুষের শরীরের জন্য খুবই উপকারী। ডিম সেদ্ধ থেকে শুরু করে ভাজা আরো কতরকম ভাবে খাওয়া হয়ে থাকে আমাদের দেশে। ডিম সেদ্ধরই দুই তিন প্রকার রয়েছে, কেউ হাফ বয়েল ভালোবাসে তো কেউ আবার পুরোটাই সেদ্ধ খেতে ভালোবাসেন। ঝটপট খাবার তৈরী করতে ডিম কিন্তু বেশ উপযুক্ত।
বাঙালিদের বাড়িতে মাছ মাংসের পাশাপাশি ডিম খাবারের মেনুতে থাকেই। কিন্তু রোজ রোজ তো আর মাংস রান্না হয় না। অথচ একঘেয়ে খাবার খেতেও ইচ্ছা করে না রোজ। তাহলে উপায়? চিংড়ি মাছের মালাইকারি নাম শুনেছেন নিশ্চই! কিন্তু সেও যে অনেক খরচের ব্যাপার। তবে এবার আর চিন্তা নেই, কারণ ডিম দিয়েই তৈরী হবে মালাইকারি। আর এই ডিমের মালাইকারি (Egg Malaikari) এর স্বাদ হলে চিংড়ির মালাইকারির স্বাদ ভুলিয়ে দেবার মত। তাহলে চলুন দেখে নেওয়া যাক কিভাবে বানাবেন ডিমের মালাইকারি।
ডিমের মালাইকারি বানানোর উপকরণঃ
২ টো ডিম, সেদ্ধ করে খোসা ছাড়িয়ে নিন
১০০ গ্রাম পেঁয়াজবাটা
অল্প কিছুটা আদা-রসুনবাটা
১০ গ্রাম মত টোম্যাটো বাটা
গরমমশলাবাটা নাম মাত্র
১০ গ্রাম চিনি
নুন
৫ গ্রাম কাজুবাটা
৫ গ্রাম চারমগজবাটা
২৫ গ্রাম মত নারকেলের দুধ (নারকেল ব্লেন্ড করে করে নিন গরম জল দিয়ে, তার পর ছেঁকে নিতে হবে)
হলুদগুঁড়ো
লাল লঙ্কার গুঁড়ো
ছোট এলাচের গুঁড়ো
ঘি অল্প পরিমাণে।
ডিমের মালাইকারি রান্নার পদ্ধতিঃ
- প্রথমে ডিম সেদ্ধ করে নিতে হবে। এরপর সেদ্ধ ডিমগুলোকে ছাড়িয়ে নুন হলুদ মাখিয়ে ভেজে নিতে হবে।
- করে ঘি দিয়ে গরম হলে তাতে পেঁয়াজ বাটা দিয়ে ভাজতে শুরু করতে হবে।
- এবার পেঁয়াজ ভাজা হতে শুরু হলে জল বেরিয়ে এলেই আদা ও রসুনবাটা দিয়ে নাড়তে হবে।
- এভাবে বেশ কিছুক্ষন ভালোভাবে বাজার পর টমেটো বাটা আর কাজী-চর্মজাজবাটা দিয়ে দিতে হবে।
- সাথে পরিমাণ মত হলুদগুঁড়ো লঙ্কাগুঁড়ো দিয়ে ভালো করে কষতে হবে মশলাটা।
- মশলা থেকে তেল বেরিয়ে এলে তাতে পরিমাণ মত নুন, চিনি ও নারকেলের দুধ মিশিয়ে দিন।
- এরপর ভালোভাবে মিশিয়ে নাড়তে নাড়তে ফুটে উঠলে তাতে ভাজা করা ডিমগুলো দিয়ে দিন আর গরম মশলা ছড়িয়ে দিন।
- ব্যাস আপনার ডিমের মালাইকারি এক্কেবারে রেডি। শুধু পাতে পড়ার অপেক্ষা।