গত ২ রা অক্টোবর মুম্বাই থেকে গোয়াগামী বিলাসবহুল কর্ডেলিয়া ক্রুজশিপে চলছিল হাই প্রোফাইল রেভ পার্টি। আগে থেকেই সেখানে নিষিদ্ধ করা হয়েছিল মাদক সেবন। কিন্তু গোপন সূত্রে এনসিবির কাছে খবর ছিল সাগরপারের সেই বিলাসবহুল পার্টিতে বসতে চলেছে মাদক সেবনের আসর। তাই আগে থেকেই ছদ্মবেশে একেবারে ফিল্মি কায়দায় এন্ট্রি নিয়েছিলেন তাঁরা।
সেখান থেকেই মাদককাণ্ডে মোট ১৪ জন তরুণ তরুণী এনসিবির অফিসারদের হাতে আটক হন। তবে তাঁদের মধ্যে শুরু থেকেই একেবারে লাইমলাইটে রয়েছেন বলিউড বাদশা শাহরুখ খানের ছেলে আরিয়ান খান (Aryan Khan)। তাঁর গ্রেপ্তারির পর থেকে গোটা দেশজুড়ে ব্যাপক শোরগোল পড়ে যায়। উল্লেখ্য মাদককান্ডে গ্রেপ্তারের পর প্রাথমিক জেরার পর উপযুক্ত প্রমাণের অভাবে ছেড়ে দেওয়া হয় ৬ জনকে। কিন্তু পরবর্তী সময়ে আরিয়ান খান সহ গ্রেফতার হন ৮ জন।
উল্লেখ্য শুরু থেকেই আরিয়ানের পাশাপাশি ক্রুজ পার্টিতে ড্রাগ সেবনের ঘটনায় সবচেয়ে বেশী চর্চায় থেকেছে যে দুই নাম, তা হল আরবাজ মার্চেন্ট ও মুনমুন ধামেচা (Mnmun Dhamecha)। বলিউডের নামী মডেল মুনমুন রূপে, লাবণ্যে বলিউড অভিনেত্রীদের থেকে কোনো অংশে কম নন। তবে্য ‘পার্টি লাভার’ এই মডেল অবশ্য শাহরুখ পুত্র আরিয়ানের থেকে বয়সে অনেকটাই বড়।তবে মাদককান্ডে শিরোনামে আসার পর থেকেই ৩৯ বছর বয়সী এই মডেলের যে বিষয়টি সবাইকে অবাক করে দিয়েছে তা হল তার মাদক লুকানোর কৌশল।
তদন্তে নেমে অফিসাররা জানতে পারেন ড্রাগ নিষিদ্ধ ওই পার্টিতে স্যানিটারি ন্যাপকিনের আড়ালে ড্রাগের পিল নিয়ে ঢুকেছিলেন মুনমুন। আর তাঁর মাদক লুকানোর এই কৌশল দেখে হতবাক হয়ে গিয়েছিলেন খোদ NCB গোয়েন্দারাও।এসবের মধ্যেই সম্প্রতি সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হয়েছে একটি ভিডিও। সেই ভিডিওটি আসলে মুনমুনের স্যানিটারি ন্যাপকিনের মধ্যে থেকে ড্রাগ পিল উদ্ধারের ভিডিও।
#AryanKhanDrugCase Drugs being recovered from sanitary pad from ship room of accused munmun
(Exclusive footage) #DrugsParty pic.twitter.com/V2gcZktVLT— gyanendra shukla (@gyanu999) October 9, 2021
সেখানে দেখা যাচ্ছে স্যানিটারি প্যাডের ভিতর থেকে ড্রাগস উদ্ধার করছেন এনসিবির একজন মহিলা আধিকারিক। সূত্রের খবর, ক্রুজের ভিতর মুনমুনের যে আলাদা ঘর ছিল সেইখানেই এই ভিডিওটি তোলা হয়েছে। জানা গেছে মুনমুনের ঘর থেকে ৫ গ্রাম মাদক উদ্ধার হয়েছে। তবে তার দাদার দাবি ‘সমস্ত অভিযোগ মিথ্যে। মুনমুনের কাছ থেকে কোনো মাদকই উদ্ধার হয়নি। মুনমুন যেখানে দাঁড়িয়েছিল সেই ঘরের মেঝে থেকে মাদক উদ্ধার করেছে NCB। যখন মুনমুনকে আটক করা হয় তখনো সে মাদকের নেশায় ছিল না।’