সিরিয়াল মানেই বাস্তবের আয়না! এমনটাই দেখানো হচ্ছে এখনকার বেশিরভাগ নারীকেন্দ্রিক বাংলা সিরিয়াল (Bengali Serial) গুলিতে। তাই স্বাভাবিকভাবেই সমাজের ভালো দিকগুলোর পাশাপাশিই জায়গা পাচ্ছে সমাজের জঘন্য দিক গুলোও। তবে সব সত্যিই কিন্তু সবাই সহজে মেনে নিতে পারেন না। তাই সমাজের কিছু রুঢ় বাস্তব রূপ দেখে অনেকেরই মনে সেগুলো অবাস্তব এবং সেগুলো আসলে অত্যন্ত নেগেটিভ,রুচিহীন ধারণা।
কিন্তু ভুলে গেলে চলবে না, ভালো-মন্দ মিশিয়েই আমাদের সমাজ। তাই হাতের পাঁচটা আঙুলের মতোই প্রত্যেক পরিবারেও থাকে বিভিন্ন ধরনের, বিভিন্ন মানসিকতার মানুষজন। তাই সব বাড়ির বৌমারা কিন্তু শ্বশুরবাড়িতে গিয়ে সবার থেকে ভালো ব্যবহার পায় না। জি বাংলার (Zee Bangla) ‘কার কাছে কই মনের কথা’ (Kar Kache Koi Moner Kotha) সিরিয়ালের মধ্য দিয়ে সমাজের মেয়েদের জীবনের এমনই নানান অজানা কাহিনী তুলে ধরা হয়েছে একেবারে নিখুঁতভাবে।
শিমুলের জীবন যেন বাস্তবের আয়না!
সদ্য বিয়ে হয়ে শ্বশুর বাড়িতে আসা শিমুলের (Shimul) জীবনের মধ্যে দিয়েই দেখানো হচ্ছে বাড়ির বৌমার সাথে শ্বাশুড়িরা ঠিক কতটা খারাপ ব্যবহার করতে পারে। তবে তার মানে এই নয় যে প্রত্যেক শ্বাশুড়ি বৌমার সম্পর্কই খারাপ হয়। তবে আমাদের সমাজে এমন অনেক মেয়ে বউরাই আছেন যারা বাস্তব জীবনে এমনই সব অভিজ্ঞতার মধ্যে দিয়ে গিয়েছেন। এই সিরিয়ালের ভিডিওর কমেন্ট সেকশনে ঢুঁ দিলেই তার প্রমাণ মিলবে ঝুড়ি ঝুড়ি।
তাই টেলিভিশনের পর্দায় সম্প্রচার শুরু হওয়ার খুব অল্প দিনের মধ্যেই দর্শকদের আলোচনার কেন্দ্রবিন্দুতে পরিণত হয়েছে এই সিরিয়াল। ফুলশয্যার রাতে বৌমাকে সরিয়ে ছেলের বুকে মাথা রেখে মায়ের ঘুমানো হোক কিম্বা পরাগের জোর করে শিমুলের সাথে শারীরিক সম্পর্ক তৈরী করা হোক। অথবা মাঝরাতে খেতে না দিয়ে পুতুল আর শিমুলকে বাড়ির বাইরে বার করে দিয়ে রাস্তায় বসিয়ে রাখা হোক।
বারবার শিমুলের শ্বশুড়ি আর বরের এই জঘন্য ব্যবহার দেখে রীতিমতো ক্ষোভে ফুঁসছেন দর্শক। এরই মধ্যে প্রকাশ্যে এসেছে সিরিয়ালের একটি নতুন প্রোমো। সেখানে দেখা যাচ্ছে পাড়ার অনুষ্ঠানে শিমুলকে নাচতে দেখে তার নাচকে ‘খ্যামটা’ নাচের তকমা দেয় তার শ্বাশুড়ি। শুধু তাই নয় ভরা মঞ্চে দাঁড়িয়েই শিমুলের গালে চড়ও মারতে যায় তার শাশুড়ি মধুবালা।
কি বলছেন দর্শক ?
এই দৃশ্য দেখে একদিকে দর্শকদের একটা বড় অংশ দাবি করেছেন টিআরপির লোভে সিরিয়ালে গার্হস্থ্য হিংসা দেখাচ্ছে জি বাংলা। তেমনি আবার অনেকেই আছেন যারা বলছেন এটাই আসলে হয়। তাই অনেকেই শিমুলকে দেখে নিজেদের জীবনের মিল পাচ্ছেন। এমনই একজন দর্শক লিখেছেন ‘দারুণ হচ্ছে। এ যেনো আমাদের সময়ের সত্যি কাহিনী। তেতাল্লিশ বছর পর নিজেকে খুঁজে পাচ্ছি। এখন ভাবলে অবাক লাগে কি করে এতোটা সহ্য করেছিলাম! শুভকামনা রইলো লেখক সহ সকল কলাকুশলীদের জন্য। অসাধারণ হোচ্ছে।’