আজকাল আট থেকে আশি সকলেই সোশ্যাল মিডিয়াতে (Social Media) বুদ হয়ে রয়েছে। সকাল থেকে রাত কাজের ফাঁকে একবার চট করে হাতে স্মার্টফোন নিয়েই সোশ্যাল মিডিয়াতে একবার ঘুরে আসা। সোশ্যাল মিডিয়াতে প্রতিদিনই হাজারো ভাইরাল ছবি (Viral Photo) ও ভিডিও দেখতে পাওয়া যায়। যা দেখে কখনো হাসতে হাসতে পেট ব্যাথা হয়ে যায় তো কখনো আবার অবাক হয়ে যেতে হয়। আসলে আমাদের চারপাশের ঘটনায় হয়তো আমরা সোশ্যাল মিডিয়া না থাকলে জানতে পারতাম না। সেখানে সোশ্যাল মিডিয়াতে মুহূর্তের মধ্যেই ভাইরাল হয়ে পরে।
কখনো মানুষের কীর্তি তো কখনো পশু পাখিদের কান্ডকারখানা হামেশাই ভাইরাল হচ্ছে সোশ্যাল মিডিয়াতে। এবারেও সেই রকমেরই এক ভাইরাল ঘটনার ছবি ধরা পড়েছে সোশ্যাল মিডিয়ার পর্দায়। সাধারণত মানুষ বাজারে যায় নিত্য প্রয়োজনীয় জিনিসপত্র কিনতে। শাক সবজি থেকে বাড়ির নানান প্রয়োজনীয় জিনিস কিনতে পাওয়া যায় বাজারে। পয়সার বিনিময়ে সেগুলো যে কেউ কিনে আনতে পারে। প্রতিটি দোকানেই থাকে এক দোকানি যার থেকেই কেনা হয় এই জিনিসপত্রগুলো।
এতো খুবই স্বাভাবিক ব্যাপার, তাহলে ভাইরাল হবার মত কি হল! আসলে ব্যাপার তা হল স্থানীয় বাজারে দোকান সামলাচ্ছে এক পোষ্য কুকুর (Dog)। হ্যাঁ ঠিকই শুনেছেন, কুকুরে সামলাচ্ছে দোকান। ঘটনাটি কোরিয়ার এই স্থানীয় বাজারের। সেখানে ইয়ং নামের এই কুকুরটিকে এক ডাকে চেনেন সকলেই। কারণ গোটা বাজারে বিখ্যাত ইয়ং (Yong)।
ইয়ংয়ের দোকানে আপনি আপনার পছন্দের যে কোনো জিনিস কিনতে চাইলে জিনিসটি নিন ও তার বদলে নায্য টাকা দিয়ে চলে গেলেই হল। কিন্তু আপনি যদি চুরি করার বা জিনিস নিয়ে পালানোর ধান্দা করেন তাহলে কিন্তু আপনার কপালে দুঃখ আছে! কারণ ইয়ং দেখতে যেমন সুন্দর তেমনি ভয়ংকরও বটে। বেগতিক দেখলেই বীভৎস চিৎকার করে কামড়ে দেবার জন্য তেড়ে যেতে দেরি করবে না ইয়ং।
তাহলেই বুঝুন, যেখানে মানুষ তার পোষ্যকে পছন্দের একটা জিনিস সেখানে হিমশিম খেয়ে যায় সেখানে একেবারে ট্রেনড এই কুকুর। বাজারের গোটা একটা দোকান সামলাচ্ছে এক হাতেই। সেই কারণেই কোরিয়ার ইয়ংএর ছবি সোশ্যাল মিডিয়াতে শেয়ার হবার পরেই ভাইরাল হয়ে পড়েছে।
ইয়ংয়ের আবার একটি বিশেষ বৈশিষ্ট রয়েছে। বাজারের পর বা ছুটির দিনে বাইকে ছোড়ে ঘুরে বেড়াতে খুব ভালোবাসে সে। তার মালিকের মোটরবাইকে চেপে দিব্যি ঘুরে বেড়ায় ইয়ং। জানলে অবাক হবেন ইয়ং শুধু বাজার সামলে তা নয়। ইয়ংয়ের একটি বাচ্চাও রয়েছে। অর্থ ইয়ং হল একটি মা কুকুর। তাই বাজার থেকে ফায়ার এসে নিজের ছেলের সাথেও বেশ কিছুটা সময় কাটায় ইয়ং।