• Srabanti Chatterjee Viral Video শ্রাবন্তী
  • অনুরাগের ছোঁয়াঅনুরাগের ছোঁয়া
  • নুসরত জাহান নুসরত
  • ফুলকিফুলকি
  • শুভশ্রীশুভশ্রী
  • ইচ্ছে পুতুলইচ্ছে পুতুল
  • নিম ফুলের মধুনিম ফুলের মধু
  • কার কাছে কইকার কাছে কই

‘এসো মা লক্ষ্মী’ ছাড়া অসম্পূর্ণ লক্ষ্মীপুজো, রইল সন্ধ্যা মুখোপাধ্যায়, অদিতির গানের অজানা ইতিহাস

আজ প্রায় প্রত্যেক বাঙালির ঘরেই উদযাপিত হচ্ছে কোজাগরী লক্ষ্মী পুজো (Lokkhi Pujo)। প্রত্যেকে নিজের সাধ্য মতো করে মা লক্ষ্মীর আরাধনায় মেতেছেন। আর লক্ষ্মীপুজো মানেই তো ‘এসো মা লক্ষ্মী, বসো ঘরে। আমার এ ঘরে থাকো আলো করে’ এই গান (Esho Maa Laxmi song)। লক্ষ্মী পুজো আসলেই প্রায় প্রত্যেক বাঙালির মুখে মুখেই ঘোরে এই গান।

গানটির শুরু ‘শঙ্খ বাজিয়ে মা কে ঘরে এনেছি, সুগন্ধি ধূপ জ্বেলে আসন পেতেছি। প্রদীপ জ্বেলে নিলাম তোমায় বরণ করে, আমার এ ঘরে থাকো আলো করে’, এই পঙক্তি দিয়ে। তবে দ্বিতীয় পঙক্তিটি যেন বেশি জনপ্রিয়। সন্ধ্যা মুখোপাধ্যায় থেকে শুরু করে অদিতি মুন্সি, দু’জনের গলায় সুপারহিট এই গান।

   

Sandhya Mukhopadhyay

গৃহবধূ থেকে শুরু করে তারকা- প্রত্যেকেই প্রায় লক্ষ্মী বন্দনায় মাতলেই এই গানটি গুনগুন করতে থাকেন। কিন্তু এই গানে এমন কী আছে যে এখনও এটি এত হিট? জানিয়ে রাখি, সন্ধ্যা মুখোপাধ্যায়ের এই কালজয়ী গানটি ১৯৭৪ সালে মুক্তিপ্রাপ্ত সিনেমা ‘দাবি’র গান। ধীরেন্দ্রনাথ গঙ্গোপাধ্যায় পরিচালিত সিনেমার গান ছিল এটি। গানটি লিখেছিলেন মিল্টু ঘোষ।

সম্প্রতি ‘এসো মা লক্ষ্মী’ গান সম্বন্ধে কথা বলার সময় এক নামী সংবাদমাধ্যমকে জনপ্রিয় গায়িকা হৈমন্তী শুক্লা বলেন, ‘সন্ধ্যাদির গলায় এই গানটি বিখ্যাত হয়ে গেলেও এই গানের কথার গুরুত্ব অনেকখানি। আসলে এই গানে মা’কে নিজের ঘরে ঢাকার একটা আকুতি রয়েছে সেটিও কিন্তু কালজয়ী হয়ে ওঠার অনেক বড় একটি কারণ’।

Hoimonti Shukla

অনেকটা একই সুর শোনা যায় অদিতির গলাতেও। সংশ্লিষ্ট সংবাদমাধ্যমকে জনপ্রিয় এই গায়িকা জানান, অনেক অনুষ্ঠানের পাশাপাশি তিনি নিজের বাড়ির লক্ষ্মীপুজোতেও এই গান গেয়ে থাকেন। অদিতি বলেন, ‘আসলে এই গানের কথাগুলোর মধ্যে এতটা ভক্তি এবং এতটা আকুতি মিশে রয়েছে যে মনের কথা হয়ে ওঠে। মনে হয় এটা সবার কাছেই হয়। আর সেই কারণেই পাঁচ দশক ধরে মানুষের মুখে মুখে ঘুরছে এই গান’।

Aditi Munshi

‘এসো মা লক্ষ্মী’ স্বর্ণযুগের গানের মধ্যে একটি। সন্ধ্যা মুখোপাধ্যায় থেকে শুরু করে অদিতি মুন্সি দু’জনের গলাতেই এই গান শুনে মুগ্ধ হয়েছেন শ্রোতারা। গায়িকাদের গলার জাদুর পাশাপাশি এই গানের মন ছুঁয়ে যাওয়া লিরিক্সের জন্যই গত পাঁচ দশক ধরে শ্রোতাদের অন্যতম পছন্দের গান এটি।