প্রত্যেক মাসে বলিউডে (Bollywood) যে কত ছবি তৈরি হয় তা গুনে শেষ করা যাবে না। তবে হাতেগোনা খুব কম ছবিই রয়েছে যেগুলি দর্শকরা ভুলতে পারেন না। এমনই একটি সিনেমা হল ‘শোলে’ (Sholay)। আর এই ছবিরই একটি কিংবদন্তি চরিত্র হল গব্বর সিং (Gabbar Singh)। ডাকাত গব্বরের চরিত্রে অভিনয় করে রাতারাতি হিন্দি ফিল্ম ইন্ডাস্ট্রির কিংবদন্তি চরিত্রের পাতায় নিজের নাম তুলে ফেলেন আমজাদ খান (Amjad khan)।
‘শোলে’ ছবির জন্য নিজের সবটুকু দিয়ে দিয়েছিলেন আমজাদ। ‘গব্বর সিং’য়ের চরিত্রতে তিনি এতটাই মন দিয়ে অভিনয় করেছিলেন যে ‘আমজাদ খান’ নাম নিলে এখনও সেই চরিত্রের কথাই প্রথম মাথায় আসে দর্শকদের। এখনও সকলের মুখে গব্বরের এক একটি সংলাপ ঘুরতে থাকে।
মাত্র ১৭ বছর বয়সে বলিউডে পা রেখেছিলেন আমজাদ। ১৯৭৩ সালে রিলিজ হওয়া ‘হিন্দুস্তান কি কসম’ ছবির মাধ্যমে নায়ক হিসেবে ডেবিউ হয়েছিল তাঁর। নিজের দীর্ঘ ফিল্মি কেরিয়ারে বহু সুপারহিট ছবিতে অভিনয় করেছেন আমজাদ। সেই লিস্টে নাম রয়েছে ‘মুকদ্দর কা সিকন্দর’, ‘পরবরিশ’, ‘সীতা অউর গীতা’র মতো বহু ছবির। তবে ‘শোলে’র মতোও জনপ্রিয়তা আর কোনও ছবিতে পাননি আমজাদ।
তবে জানিয়ে রাখি, ‘শোলে’র খলনায়কের চরিত্রের জন্য নির্মাতাদের প্রথম পছন্দ কিন্তু আমজাদ ছিলেন না। বরং ড্যানির এই ছবিতে অভিনয় করার কথা ছিল। কিন্তু তিনি অন্য একটি ছবির শ্যুটিংয়ের জন্য প্রস্তাব ফিরিয়ে দেন। তখন বলিউড সুপারস্টার সলমন খানের বাবা সেলিম খান আমজাদ খানকে নেওয়ার কথা বলেন।
গব্বর সিংয়ের চরিত্রে সুযোগ পেয়ে যাওয়ার পর আমজাদের কাছে সবচেয়ে বড় লড়াই ছিল অবশ্য এই চরিত্রের জন্য নিজেকে তৈরি করা। কথা বলার স্টাইল থেকে নিজের ব্যক্তিত্ব, ‘শোলে’র জন্য নিজের মধ্যে অনেক পরিবর্তন এনেছিলেন অভিনেতা। এমনকি গব্বর সিং যে ধরণে কথা বলতেন, সেই স্টাইলে কিন্তু আমজাদ কথা বলতেন না। তাঁর গ্রামে একজন ধোপা ছিল, সে এই স্টাইলে কথা বলত। ছবিতে অভিনবত্ব আনতে সেই ধরণে কথা বলার সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন আমজাদ।
‘শোলে’র শ্যুটিং চলাকালীন হঠাৎই একদিন এইভাবে কথা বলে সকলকে চমকে দেন এই কিংবদন্তি অভিনেতা। প্রথমে একটু অবাক হলেও পরে তা ভালোলেগে যায় পরিচালক রমেশ সিপ্পি-সহ বাকি সকলের। আর এভাবেই আমজাদ খান হয়ে ওঠেন পর্দার গব্বর সিং।