গত ১৪ ই জুলাই মা হয়েছেন বলিউড অভিনেত্রী দিয়া মির্জা (Diya Mirza)। মাতৃত্বকে এখন চুটিয়ে উপভোগ করছেন অভিনেত্রী। তার গর্ভাবস্থা থেকেই অসংখ্য বিতর্কের মুখে পড়তে হয়েছে তাকে। গত চার মাস আগেই দ্বিতীয় বার বিয়ে করেন অভিনেত্রী। চলতি বছরের ১৫ ই ফেব্রুয়ারী মুম্বাইয়ের এক ব্যবসায়ী বৈভব রেখির সাথে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হয়েছেন দিয়া। এর আগে বলিউডের প্রযোজক সাহিল সংঘের সাথে বিয়ে হয়েছিল অভিনেত্রীর। বিয়ের মাস খানেকের মধ্যেই নিজের গর্ভবতী হওয়ার খবর প্রকাশ্যে এনেছিলেন দিয়া।
দিয়া তার ছেলের নাম রেখেছেন অভিযান আজাদ রেখি (Avyaan Azaad Rekhi)। টুইটারে সুখবর জানিয়ে দিয়া লিখেছিলেন, ‘এই ছোট্ট প্রাণটাকে আমরা অবাক হয়ে দেখছি। অভিভাবক হওয়া এবং এই বিশ্বসংসারের উপর আস্থা রাখার প্রকৃত অর্থ বিনীত হয়ে ওর কাছ থেকেই শিখছি আমরা।’ তবে সদ্য মা হওয়ার পর নানানরকম সমস্যার সম্মুখীন হয়েছেন অভিনেত্রী।
আসলে সদ্যজাত সন্তানদের খাদ্য বলতে একমাত্র মায়ের বুকের দুধই। কিন্তু জনসমক্ষে স্তন্যপান করানো নিয়ে সমাজে এখনো নানান ট্যাবু রয়েছে। এবার সেই সমস্যা নিয়েই মুখ খুললেন নায়িকা। ওয়ার্ল্ড ব্রেস্ট ফিডিং সপ্তাহ উপলক্ষে এক সংবাদমাধ্যমকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে দিয়া জানিয়েছেন, নতুন মায়েদের জন্য সমাজের আরও সংবেদনশীল হওয়া জরুরি।
বেলজিয়ামে জনসম্মুখে মাতৃদুগ্ধ খাওয়ানো আইন দ্বারা সুরক্ষিত, কিন্তু ভারতে এটা সম্ভব নয়। তাই সামাজিক মনোভাবের খানিক পরিবর্তন আনতে আইনকানুনেরও প্রয়োজন রয়েছে বলেই মত নায়িকার। তাঁর মতে, শিশুকে খাওয়ানো একটি স্বাভাবিক কাজ বলে মনে করা উচিত।
তিনি আরও বলেন, তিনি আরও বলেন, মায়েরা যদি আর্থিক ও সামাজিক ভাবে পিছিয়ে পড়া পরিবারের থেকে হয় সেক্ষেত্রে আরও বেশি সমস্যায় পড়তে হয় তাঁদের। আমরা কেন কখনও নজর দিইনি; কনস্ট্রাকশন সাইট, কারখানা, চাষের এলাকা, রাস্তার ধারে ছোট স্টল এগুলিতে একজন মায়ের সন্তানকে স্তন্যপান করাতে কতটা অসুবিধা হয়।