‘দিয়া অউর বাতি হাম’এ অভিনয় করে রাতারাতি বিপুল জনপ্রিয়তা অর্জন করেছিলেন অভিনেত্রী দীপিকা সিং (Deepika Singh)। সিরিয়াল শেষ হওয়ার এত বছর পরেও দর্শকরা তাঁকে সন্ধ্যা নামেই চেনেন। এখন অবশ্য অভিনেত্রীকে পর্দায় খুব বেশি দেখা না গেলেও, সোশ্যাল মিডিয়ার মাধ্যমে অনুরাগীদের সঙ্গে নিয়মিত যোগাযোগ রাখেন তিনি।
সম্প্রতি হিন্দি টেলিভিশন দুনিয়ার সেই নামী অভিনেত্রীই নিজের জীবনের এক অত্যন্ত কঠিন সময়ের (Struggle) কথা ফাঁস করেছেন। যা শুনে একেবারে অবাক হয়ে গিয়েছেন অনুরাগীরা। একটি নামী সংবাদমাধ্যমের সঙ্গে আলাপচারিতার সময় দীপিকা বলেন, ছোটবেলায় তাঁর পরিবারের এতটাই কাঙালের দশা হয়েছিল যে স্কুলে পড়ার মতো সামর্থ্যও ছিল না। আর তাই ফিজ না দিতে পারার জন্য তাঁকে স্কুল থেকেও বের করে দেওয়া হয়েছিল।
‘দিয়া অউর বাতি হাম’ অভিনেত্রী বলেন, তিনি একটি জয়েন্ট ফ্যামিলিতে বড় হয়েছেন। তাঁর চার ভাই বোন রয়েছে। সবচেয়ে বড় তিনিই। ছোটবেলায় বাকি সবকিছু ঠিক থাকলেও, প্রচণ্ড আর্থিক সমস্যার সম্মুখীন হয়েছিল তাঁর পরিবার। অভিনেত্রী জানান, অর্থের অভাবের জন্য অষ্টম শ্রেণি পর্যন্ত এয়ারফোর্সের স্কুলে পড়াশোনা করার পর তিনি সরকারি স্কুলে ভর্তি হয়েছিলেন।
দীপিকা জানিয়েছেন, তাঁর পিতার একটি এমব্রয়ডারির কারখানা ছিল। কিন্তু সেটি লোকসানে চলছিল। অভিনেত্রীর বাবার ওপর অনেক লোনের বোঝাও ছিল। এসবের মাঝেই বাবার অ্যাক্সিডেন্ট হয়। ১ বছর বিছানা ছেড়ে উঠতে পারেননি তিনি। এতে আর্থিক সমস্যা আরও বেড়ে যায়।
পর্দার সন্ধ্যা বলেন, তাঁর বাবা একেবারেই চাইতেন না তিনি এবং তাঁর বোন স্কুল ছেড়ে দিক। কিন্তু বড় মেয়ে হওয়ার দিক থেকে পরিবারের অবস্থা বুঝে তিনি নিজেই দামি স্কুল ছেড়ে সরকারি স্কুলে পড়ার সিদ্ধান্ত নেন। দীপিকা বলেন, স্কুল ছাড়ার জন্য তিনি যখন প্রিন্সিপ্যালকে বলতে গিয়েছিলেন, সেই সময় নাকি তিনি বলেছিলেন, টাকা না থাকলে এত দামি স্কুলে পড়ার কী আছে! একথা শোনার পরেই ছোট্ট দীপিকা ঠিক করে নিয়েছিলেন, তিনি একদিন এমন কিছু করবেন যে এই স্কুলই তাঁর জন্য গর্ব বোধ করবে।
দীপিকার কেরিয়ারের দিক থেকে বলা হলে, ২০১১ সালে টিভি সিরিয়াল ‘দিয়া অউর বাতি হাম’এর মাধ্যমে তাঁর কেরিয়ার শুরু। ২০১৪ সালে সেই সিরিয়ালেরই পরিচালকের সঙ্গে সাত পাক ঘোরেন অভিনেত্রী। ২০১৭ সালে জন্ম হয় তাঁদের ছেলে সোহমের।