রানী রাসমণি সিরিয়ালের অভিনেত্রী দিতিপ্রিয়া রায় (Ditipriya Roy) কে আলাদা করে চেনাতে লাগবে না। সিরিয়ালে মূল চরিত্রে অনবদ্য অভিনয় করে দর্শকদের মন জিতে নিয়েছেন অভিনেত্রী দিতিপ্রিয়া। অল্প বয়সেই নিজের অভিনয় দিয়ে ফুটিয়ে তুলেছেন রানি রাসমণির মত একটি চরিত্রকে। অভিনয়ের এই দক্ষতার কারণে সোশ্যাল মিডিয়াতেও সমানভাবে জনপ্রিয় হয়ে উঠেছেন অভিনেত্রী।
ক্লাস নাইনে পড়াকালীন অভিনয় যাত্রা শুরু হয়েছিল অভিনেত্রীর। এরপর ঠিক দেখতে দেখতে দ্বাদশের গন্ডি পেরিয়ে আজ কলেজের দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্রী দিতিপ্রিয়া। অর্থাৎ অভিনয়ের পাশাপাশি নিজের পড়াশোনাকেও সমান গুরুত্ব দিয়েই এগিয়ে চলেছেন অভিনেত্রী। সম্প্রতি এক সংবাদ মাধ্যমকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে নিজের পড়াশোনার জীবনের কিছু স্মৃতি শেয়ার করলেন দিতিপ্রিয়া।
অভিনেত্রীর মতে, চোখের সামনে খোলা সমুদ্র সৈকতে ভীষণ হাওয়ায় উড়ে চলেছে মাথার চুল। ইছা তো করছিল শান্ত হয়ে সুমুদ্রের ধরেই বসে থাকি, আর চোখের সামনে আকাশের রং পাল্টানোর খেলা দেখি। কিন্তু আসলে তখন পরিস্থিতিটা একেবারেই আলাদা। কেন? কারণ তখন যে আকাশ দেখার সময় নেই! পরীক্ষা চলছে। জোড়কলমে লেখা চালিয়ে যেতে হচ্ছে। আর চোখ যাচ্ছে বারবার ঘড়ির কাঁটার দিকে সময়ের মধ্যে উত্তরপত্র শেষ করে জমা দিতে হবে যে।
ভাবছেন নিশ্চই এ কেমন পরীক্ষা! আসলে দিতিপ্রিয়া তার কলেজের প্রথম বর্ষের পরীক্ষার কথা বলেছেন। বর্তমানে আশুতোষ কলেজ থেকেই নিজের স্নাতক স্তরে পড়াশোনা করছেন অভিনেত্রী। আর লকডাউনের জেরে পরীক্ষা হয়েছে অনলাইন পদ্ধতিতে। তাই শুটিংয়ের মাঝে সমুদ্রের ধারে বসেই পরীক্ষা দিতে হয়েছিল অভিনেত্রীকে। বন্ধুরা ও বাকি সহ অভিনেতা-অভিনেত্রীরা যেখানে সমুদ্রের সৈকতে মজা করতে ব্যস্ত ছিল সেখানে রানীমা অর্থাৎ দিতিপ্রিয়া নিজের পরীক্ষার উত্তরপত্র লিখতে ব্যস্ত।
যেদিনের এই ঘটনা সেদিন ছিল রাষ্ট্রবিজ্ঞান পরীক্ষা। ভালোই হয়েছিল পরীক্ষা। তবে পরীক্ষার ঝামেলা কম ছিল না। ১ ঘন্টার লেখার শেষে ছবি তুলে সেটাকে পাঠাতে হবে অনলাইনেই। এদিকে লেখার শেষে ফোনে ছবি তুলতে গিয়ে অভিনেত্রী দেখেন যে ফোনের চার্জ শেষ। মাথা খারাপ হয়ে গিয়েছিল রীতিমত। দাদা সাহায্যের জন্য এগিয়ে এসেছিল ঠিকই তবে সেইসময় দাদার ওপর চিৎকার করে বসেছিলেন দিতিপ্রিয়া।
এরপর দৌড়ে গাড়িতে গিয়ে ফোনে চার্জ দিয়ে তবে উত্তরপত্রের ছবি পাঠান। সেই পরীক্ষার ফলাফল কিন্তু বেশ ভালই হয়েছে। রাষ্ট্রবিজ্ঞানে ৭৭ পেয়েছে দিতিপ্রিয়া। এছাড়াও সমাজ বিজ্ঞানে আশি পার। ইংরেজিতেও প্রাপ্ত নম্বর ৯০। নিজের পরীক্ষার ফলে বেশ খুশি অভিনেত্রী।