একসপ্তাহ আগেই গত রবিবার স্বাধীনতা দিবসের দিন ওটিটি প্লাটফর্ম অ্যামাজন প্রাইমে মুক্তি পেয়েছে ‘শেরশাহ’ (Shershah)। যা আদতে কার্গিল যুদ্ধের বীর যোদ্ধা তথা শহীদ বিক্রম বাত্রার বায়োপিক। সিনেমায় বিক্রম বাত্রার চরিত্রে অভিনয় করেছেন সিদ্ধার্থ মালহোত্রা (Sidharth Malhotra) এবং তাঁর বাগদত্তা ডিম্পল চিমার চরিত্রে অভিনয় করেছেন কিয়ারা আডবাণী (Kiara Advani)। ছবিতে সিদ্ধার্থ কিয়ারার অভিনয় মন ছুঁয়েছে দর্শকদের।
তবে শুধু দর্শকরাই নন সিদ্ধার্থ কিয়ারার অভিনয় দেখে মুগ্ধ শহীদ বিক্রম বাত্রার বাবা গিরিধারী লাল বাত্রা এবং মা কমল কান্তা বাত্রাও। সিদ্ধার্থ কিয়ারা দুজনের অভিনয়ই তাঁদের পছন্দ হয়েছে। তাই সিনেমাটির ঢালাও প্রশংসা করে তারা জানিয়েছেন ‘শেরশাহ একটি খুব সুন্দর ছবি। সিদ্ধার্থ আর কিয়ারা খুব ভালো কাজ করেছে।’ সেইসাথে পরিচালক বিষ্ণ বর্ধনেরও প্রশাংসা করেছেন তাঁরা। উল্লেখ্য ১৯৯৯ সালে কার্গিল যুদ্ধে বিক্রমের কোডনেম ছিল শেরশাহ।
বিক্রম বাত্রার বাবা -মা জানিয়েছেন কিয়ারাকে একেবারেই ডিম্পলের (Dimple) মতোই মনে হয়েছে। সেসময় কার্গিল যুদ্ধ একেবারে তছনছ করে রেখে দিয়েছিল ডিম্পলের ব্যাক্তিগত জীবন। বিয়ের তারিখ পাকা হয়ে গেলেও শেষ পর্যন্ত তাঁদের আর বিয়েটা হয়নি। কিন্তু ডিম্পল নিজেকে বিক্রমের স্ত্রী মনে করত তাই বিক্রমের মৃত্যুর পর দুই পরিবারের তরফে তাঁকে অনেক বোঝানো হলেও নিজের সিদ্ধান্তে অনড় থেকে সারাজীবন অবিবাহিত থেকে যান তিনি।
সেসময় দুই বাড়ির সদস্যদের ডিম্পল জানিয়ে দিয়েছিলেন তিনি তাঁর বাকি জীবনটা বিক্রমের সাথে কাটানো মুহুর্তগুলোকে আঁকড়ে ধরেই কাটিয়ে দেবেন। তারপর থেকে তিনি নিজের মতো করেই স্বাধীন ভাবেই জীবন যাপন করছেন। তাঁর সিদ্ধান্তে কেউ আর হস্তক্ষেপ করেননি। জানা গেছে আজও এই দুই পরিবারের সম্পর্ক অক্ষুন্ন রয়েছে। আজ শেরশাহ না থাকলেও তাঁর বাবা মা কে তাঁদের জন্মদিনে আজও ফোন করতে ভোলেননা ডিম্পল।
বিক্রম বাত্রার পরিবারের তরফে শুরু থেকেই তাঁদের সম্পর্ক নিয়ে কোনো দ্বিমত ছিল না। তাঁদের ছেলের সাথে ডিম্পলের সম্পর্ক তাঁরা শুরু থেকেই মেনে নিয়েছিলেন। এবিষয়ে তাঁরা জানিয়েছেন ‘ভুল পথে না গেলে কিংবা কোনও অন্যায় না করলে কোনওদিন কিছু করতে বিক্রমকে বাধা দিইনি। তাছাড়া আমরা শুরু থেকেই জানতাম পারিবারিক মূল্যবোধ এবং সম্পর্কের প্রতি ডিম্পল কতটা শ্রদ্ধাশীল।’